শেখ হাসিনার পালায়নের মধ্যে দিয়ে যে পরিবর্তন এসেছে তা লালন করতে হবে-আমির খসরু
লালমনিরহাট প্রতিনিধি :
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা যে বাংলাদেশ তৈরীর স্বপ্ন দেখছি সেই বাংলাদেশ তৈরী করতে হলে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার মধ্যে দিয়ে যে পরিবর্তন এসেছে সেই পরিবর্তন আমাদের ধরিয়ে রাখতে হবে। সেই পরিবর্তনের ধারাকে বুকে লালনকে আগামীর বাংলাদেশ তৈরী করতে হবে।
তিনি বলেন, যদি আমরা সেই পরিবর্তনকে মনে ধারণ করে পরিচ্ছন্ন রাজনীতি উপহার দিতে পারি তাহলেই তারেক রহমানের নেতৃত্ব যে বাংলাদেশ চেয়েছি সেই বাংলাদেশ তৈরী সম্ভব।
শহীদ জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে নতুন বাংলাদেশ তৈরীতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন বাংলাদেশী জাতীয়বাদ চেতনায় বিশ্বাসী সবাইকে সাথে নিয়ে এ যাত্রায় আমাদের জয়ী হতে হবে।
লালমনিরহাটে বড়বাড়ী শহীদ আবুল কাশেম কলেজ মাঠে শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্ণামেন্টের ৬ষ্ঠ আসরের ৫ম খেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিগত দিনগুলোতে আমরা রাজপথে রক্ত দিয়েছি, জেলে গিয়েছি, অনেক নেতাকর্মী হারিয়েছি, জীবনে অনেক কিছুই হারিয়েছি। কিন্তু একটা জায়গায় ভালো কাজ করেছি। বিএনপি নেতাকর্মীরা জ্বলে-পুড়ে খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছে। এজন্য বিএনপিকে ভাঙতে পারেনি। আমরা আজ অনেক শক্তিশালী। বিএনপিকে যারা যখন থামাতে গিয়েছে, তখনই তারা ধ্বংস হয়ে গেছে। বিএনপি কোথায় আর যারা ধ্বংস করতে চেয়েছিল তারা আজ কোথায়?
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে নির্বাচন চেয়ে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের গণতন্ত্রের মাধ্যমে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাদের সরকার, তাদের সংসদ দেখতে চাই। বিএনপি এজন্য বিগত দিনে অনেক ত্যাগ শিকার করেছে, প্রয়োজনে আবার ত্যাগ শিকার করতে আমরা রাজি আছি।
লালমনিরহাট জেলা বিএনপির আয়োজনে এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির জাতীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, বিএনপি-র পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ, দিনাজপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহমেদ কচি ও টুর্ণামেন্টের সদস্য সচিব লালমনিরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক একেএম মমিনুল হক প্রমুখ।
জনগণের সিদ্ধান্ত অন্য কেউ দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, জনগণের সিদ্ধান্ত অনেকে অনেকবার দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবও চেষ্টা করেছিলেন, তিনি কি সফল হয়েছেন? এরপর এরশাদ চেষ্টা করেছিল, শেখ হাসিনা চেয়েছিল, তারা কি পেরেছে? তাই সেদিকে না গিয়ে জনগণের সিদ্ধান্ত তাদের দিতে দেন।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, এখনও পরাজিত শক্তি বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। আওয়ামীলীগ হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে। তাদের স্বপ্নের সোনার সিংহাসন থেকে বিচ্যুত ঘটার কারণে তারা আবার নতুন করে ষড়যন্ত্রে ফিরে যেতে চায়। আজ আনসার বিদ্রোহ কাল পাহাড় বিদ্রোহ, তারপর সচিবালয় ঘেরাও, সুতরাং সবাইকে সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছিল। এখনও দ্বিতীয় যুদ্ধ বাকি আছে। দ্বিতীয় যুদ্ধ কি? জনগণ কর্তৃক অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন।
এ সময় বিএনপি-র পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ বলেন, যে নেত্রী তার নেতাকর্মীদের রেখে পালিয়ে যায় সেই নেত্রীকে বলবো বেগম খালেদা জিয়ার পায়ে সালাম করেন। আর দেখেন কিভাবে শত জুলুম নির্যাতন সহ্য করে নেতাকর্মীদের পাশে সাহসের বাতি হয়ে থাকতে হয়। খেলায় পঞ্চগড় জেলা বিএনপি একাদশ বনাম দিনাজপুর জেলা বিএনপি একাদশ অংশ গ্রহন করেন।