এক সপ্তাহে ৫ হাজার ১২৮ মেট্রিকটন চাল আমদানি, তবুও কমেনি দাম
হিলি প্রতিনিধি:
গত এক সপ্তাহ থেকে শুল্ক মুক্ত ভাবে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি অব্যাহত থাকলেও কমেনি চালের দাম। খুচরা বাজারে দেশি চালের দাম আগের মতোই রয়েছে। আঠাশ জাতের চাল ৫৮ টাকায়, সম্পাকাটারী ৭০ টাকায় স্বার্না জাতের চাল ৫৫ টাকায় এবং জিরাশাইল জাতের চাল ৬৬ টাকা কেজি দরেই বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে ভারত থেকে আমদানিকৃত রত্নাআতব ৫৩ থেকে ৫৪ টাকায়, স্বম্পাকাটরী ৭০ টাকায় এবং স্বর্না জাতের চাল ৫৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
দাম না কমাতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে হিলি বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।
হিলি বাজারে চাল কিনতে আসা রিকশাচালক ইয়াকুব আলী বলেন, আমি সারাদিন রিকশা চালিয়ে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ইনকাম করে থাকি। বাজারে সব নিত্যপণ্যের দামই বেশি। সামান্য ইনকাম দিয়ে চাল, ডাল, আদা, রসুন, পেঁয়াজসহ অন্যসব পণ্য ক্রয় করা কষ্টকর হয়ে গেছে। জিনিসপত্রের দাম যে ভাবে বাড়ছে আয় তো আর বাড়েনি।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রনালয় থেকে চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করার পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি হচ্ছে। তবে ভারতের অভ্যান্তরে দাম বেশি হওয়াতে আমদানিকারকরা বিপাকে পড়েছেন। ফলে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে আশা করা যায় অল্প দিনের মধ্যেই দাম নিয়ন্ত্রনে চলে আসবে।
হিলি কাস্টমসের তথ্য মতে, গত ১১ নভেম্বর থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় ১৩২ ট্রাকে ৫ হাজার ১২৮ মেট্রিকটন চাল আমদানি হয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে।
উল্লেখ্য, সারাদেশের ১০২ জন আমদানিকারক ৫ লক্ষ ৮৭ হাজার মেট্রিকটন চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছেন।