গঙ্গাচড়ায় গরুর খড় খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৩
গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি:
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় গরুর খড় খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ অন্তত ১৩ জন আহত। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল (১৯ নভেম্বর) মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের নগরবন্দ এলাকায়। আহতদের পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সহযোগীতায় উদ্ধার করে গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে। এর মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে ।
আহতরা হলেন- ওই গ্রামের আলেফ মিয়া (৪০), রুবেল মিয়া (২১), হাজেরা বেগম (৬৫), হজরত আলী(২৪), আমিনুর ইসলাম (৬৭) জহুরা বেগম কল্পনা (৩৬) আলেমা বেগম (৬০),
জেসমিন খাতুন (২৩), সাজে বেগম (৩৮), সুইটি (৪০), আলমগীর (৪৫), কুদ্দুস মিয়া (১৭)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে নগরবন্দ গ্রামের হাসেন আলীর বাড়ির উঠানে ধানের খড়ের গাদার কিছু খড় প্রতিবেশী আলেফ মিয়ার একটি গরুর বাছুর খেয়ে ফেলে। গরুর বাছুরের খড় খাওয়া দেখে হাসেন আলীর স্ত্রী সুইটি বেগম আলেফ মিয়ার স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আলেফ মিয়ার স্ত্রী গালিগালাজ এর প্রতিবাদ করায় ঝাড়ু হাতে তাকে মারার জন্য হাসান এর স্ত্রী তাদের বাড়ির উঠানে যায়, তখন পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আলেফ মিয়ার ছেলে কুদ্দুস লাঠি হাতে হাসেন আলীর স্ত্রীর মাথায় আঘাত করে, এমতাবস্থায় ঘটনাস্থলে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরেন হাসেনের স্ত্রী সুইটি বেগম। এরপর স্থানীয়রা ছুটে এসে ঘটনার বিস্তারিত শুনে আলেফ মিয়ার পরিবারকে মারধর করার সময় দুপক্ষের সংঘর্ষে এলাকাবাসীসহ ১৩ জন আহত হয়। এরপর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী আলেফ মিয়ার পরিবারকে তাদের বাড়ির ভিতরে অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে আলেফ মিয়ার পরিবারের লোকজনকে এলাকাবাসীর হাত থেকে উদ্ধারের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়। পরে রাত ৯ টার দিকে সেনাবাহিনীকে খবর দেয়। এরপর সেনাবাহিনীর একটি দল পুলিশসহ তাদের উদ্ধার করে গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।
আহতদের বিষয়ে জানতে চাইলে গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখন পর্যন্ত ৭জন ভর্তি হয়েছে এর মধ্যে দু’জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এবিষয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আল এমরান বলেন খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবরুদ্ধ পরিবারটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করি। কিন্তু এলাকাবাসীর ক্ষোভের মুখে আমরা সেনাবাহিনীর সহযোগীতা নিয়ে পরিবারটির লোকজনকে উদ্ধার করি। তবে দুই পক্ষের প্রায় ১২ থেকে ১৩ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।