চিলাহাটিতে স্ত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা, স্বামী গ্রেফতার
মোসাদ্দেকুর রহমান সাজু, ডোমার নীলফামারী:
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ১নং ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের সাতঘরিয়া এলাকায় বালিশচাপা দিয়ে স্ত্রীকে হত্যা করেছে স্বামী নাসির হোসেন। এই ঘটনায় পুলিশ নাসির হোসেনকে গ্রেফতার করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর রাত আনুমানিক ১১ টার দিকে ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের ০৯ ওয়ার্ডের সাতঘরিয়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।
গ্রেফতারকৃত নাসির হোসেন ৯নং ওয়ার্ডের সাতঘরিয়া এলাকার বেলাল হোসেনের ২য় সন্তান।
এলাকাবাসীর সুত্রেমতে গত ৩-৪ দিন থেকে তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে টুকটাক কথা কাটাকাটি চলছিল এরই ধারাবাহিকতায় আজ রাতে নাসির তার স্ত্রীকে প্রচন্ড মারপিট করে এরপর রাতে যখন সবাই ঘুমিয়ে পড়ে তখন সে তার স্ত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর ওদের বাড়ীতে শোরগোল শুরু হলে পাশের বাড়ির লোকজন মেয়ের বাবার বাড়িতে ফোন দেয়, মেয়ের মা বাবা ভাই এসে দেখে তাদের মেয়ে মৃত লাশ হয়ে শুয়ে আছে, তখন সবাই কান্নাকাটি শুরু করলে মৃত্যুর বিষয়টি গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এসময় এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে স্বামীকে আটক করে এবং পরে তারা ডোমার থানাকে ফোনে বিষয়টি অবগত করলে ডোমার থানায় লাশসহ তার স্বামীকে নিয়ে আসতে বললে চিলাহাটি তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ লাশসহ আসামী নাসিকে ডোমার থানায় নিয়ে আসে।এসময় বাড়ির অন্যান্ন লোকজন পালাতক ছিল বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
এবিষয়ে বিষয়ে মৃত বিউটি বেগমের ভাই শরিফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার বোনকে নাসির বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে আমাকে ফোন দিয়ে আত্মহত্যার কথা বলেছে আমি তার বাড়িতে গিয়ে দেখলাম এবং বুঝতে পারলাম প্রকৃত অর্থে আমার বোনকে সে গলা টিপে শ্বাসরুদ্ধ করে এবং আশেপাশে কেউ যেন শব্দ শুনতে না পারে সেজন্য মুখে বালিশ চাপা দিয়ে ধরেছিল। এ ব্যাপারে ডোমার থানায় আমরা একটি হত্যা মামলা করেছি।
এবিষয়ে ডোমার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম জানান, মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়েছি, এবং সেই পরিপ্রেক্ষিতে ০১ নং আসামী নাসির হোসেনকে গ্রেফতার করে বিঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। সেইসাথে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে প্রেরন করা হয়েছে, ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।