ডোমারে আন্তঃনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের ব্রেক ফেল, দূর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেলো শতাধিক যাত্রী
মোসাদ্দেকুর রহমান সাজু,ডোমার নীলফামারীঃ
নীলফামারীর ডোমারে যাত্রা বিরতি দেয়ার আগে ‘ব্রেক ফেল’ করে চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর খুলনাগামী 'সীমান্ত এক্সপ্রেস' ট্রেনটি, ব্রেক ফেল হওয়ায় ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে না থেমে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে গিয়ে থামে । এতে দূর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেলো প্রায় শতাধিক যাত্রী।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭.২০ মিনিটে ডোমার রেল স্টেশনে এই ঘটনাটি ঘটে। সরেজমিনে ডোমার রেল স্টেশনে গিয়ে জানা যায়, চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী আন্তঃনগর 'সীমান্ত এক্সপ্রেস' ট্রেন সন্ধ্যা ৭.০৫ মিনিটে ডোমার পৌঁছানোর নির্ধারিত সময় থাকলেও কিছুক্ষন বিলম্ব হওয়ায় ৭.১২ মিনিটে ডোমার রেল স্টেশনে পৌঁছায়। কিন্তু দ্রুত গতিতে থাকা ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে না থেমে সামনে চলে যায়। এক পর্যায়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে গিয়ে ট্রেনটি থামে। পরে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে আবার উল্টো পথে প্ল্যাটফর্মে আসে।
চিলাহাটি থেকে ডোমারের উদ্দেশ্য ছেড়ে আসা আন্তঃনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী রতন ইসলাম বলেন,ডোমার বাজার রেলগেট অতিক্রম করার পর প্লাটফর্মে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম কিন্তু প্লাটফর্মের কাছাকাছি এসেও স্বাভাবিক গতি ছিলোনা ট্রেনটির। এতে আমরা কয়েকজন যাত্রী একটু ভয় পাই। পরে মনে হয়েছিল ট্রেনের ড্রাইভার মনে হয় ঘুমিয়ে গেছে। পরে ট্রেনটি আনুমানিক দুই কিলোমিটার দূরে থামার পর ট্রেন থেকে নেমে পড়ি। পরে জানতে পারি ট্রেনটি ব্রেক ফেল করেছে।’
আলমগীর হোসেন নামে প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা সৈয়দপুরের আরেক যাত্রী বলেন, ‘সৈয়দপুর যাওয়ার জন্য দুই শিশু সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে দুই নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে ছিলাম। স্টেশনে মাইকিংয়ে বলা হচ্ছে ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এসে ট্রেনটি থামবে। ট্রেন এলো, কিন্তু থামল না। হঠাৎ অনেকে এমন দৃশ্য দেখে ভয় পেয়ে গেছে।’
খুলনাগামী আন্তঃনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটির চালক আসাদুজ্জামান খান ও গার্ড হুমায়ুন কবীর খান জানান, ‘সাধারন ব্রেক কাজ না করায় স্টেশন ছেড়ে অনেকদূর গিয়ে জরুরী ব্রেক ধরে ট্রেনটি থামানো হয়। এতোক্ষনে স্টেশন থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে ট্রেনটি চলে আসে। এরপর ৭.৫০ মিনিটে ডোমার রেল স্টেশন থেকে আমরা খুলনার উদ্দেশ্য ডোমার স্টেশন ছাড়ি।
ডোমার রেল স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার বাবু হোসেন জানান, 'আমরা মাইকে বরাবরের মতো ঘোষনা দিচ্ছিলাম স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে ট্রেন থামার কথা। কিন্তু ব্রেক ফেল হওয়ায় দুই কিলোমিটার দূরে চলে যায়। এসময় যাত্রীদের সাময়িক বিঘ্ন ঘটে। পরে ট্রেনটি পেছনে এসে যাত্রী তোলে। এরপর যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি ৭.৫০ মিনিটে রওনা দেয়। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এলাকায় কেউ ক্ষতির সম্মুখীন হয়নি।