মিঠাপুকুরে বিয়ের প্রলোভনে ৪ বছর ধরে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ
মিঠাপুকুর(রংপুর)প্রতিনিধি:
রংপুরের মিঠাপুকুরে বিয়ের প্রলোভনে এক নারীকে ৪ বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন আওমীলীগের ওয়ার্ড সভাপতির বিরুদ্ধে । এ নিয়ে গতকাল ভুক্তভোগী ওই নারী মিঠাপুকুর থানায় বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত ওই নেতার নাম কামরুজামান কামরু(জামান) (৪০)। তিনি লতিবপুর ইউনিয়নের খোসালপুর গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে এবং লতিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৬নং ওয়ার্ড সভাপতি।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়নের খোসালপুর গ্রামের কামরুজ্জামান কামরু পেশায় একজন পুস্তক বিক্রেতা। এছাড়াও গ্রামে একটি মাছের খামার রয়েছে তার। সেই খামারে ওই নারী জীবিকার তাগিদে কাজ করার সুবাদে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক।এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মাছের খামার,ওই নারীর বাড়ি এবং ঢাকায় একটি বাসা ভাড়া করে তার সঙ্গে ২০২০ সালে থেকে ২০২৪ সাল পযর্ন্ত সংসার ও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন কামরুজামান। পরে কামরুজ্জামান ছেলে অসুস্থ বাহানা দেখিয়ে বাড়িতে চলে আসেন। পরবর্তী সময়ে ওই নারী জানতে পেরে কামরুজ্জামানের কাছে গেলে তিনি খামারে নিয়ে গিয়ে ওই নারীকে জোর করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন।
স্থানীয় মমিনুল ইসলাম জানান, এই নেতা এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি বাবদ এলাকায় ৫০০ থেকে ৬০০ জনের কাছ থেকে জন প্রতি চার হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছেন। তাছাড়া ধর্ষণের বিষয় তো আছেই। তার চরিত্র মোটেও ভালো নয় এর উপযুক্ত শাস্তি আমরা দেখতে চাই।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, কামরুজামান কামরু আওয়ামীলীগের নেতা হওয়ায় প্রায়ই এসব কর্মকাণ্ড করতেন।মানুষকে ভয় দেখিয়ে অর্থসহ ইজ্জত লুটে নিতেন। তাছাড়াও বছর খানেক আগে পায়রাবন্দ ইউনিয়নে গভীর রাতে একটি বাড়ির গরু চুরির ঘটনায় তার বাসা থেকে ৫টি গরু উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, বিয়ের আশ্বাসে কামরুজামান কামরু আমাকে নিজের বউয়ের মতো ব্যবহার করেছে।আমার স্বামী এবং সন্তানদের সঙ্গে কোন যোগাযোগ রাখতে দেয়নি। প্রায় সময় আমাকে ব্লাকমেইল করে এসব কাজ করতে বাধ্য করেছেন। সে এখন বলছে,আমাকে বিয়ে করা তার পক্ষে সম্ভব নয়।
অভিযুক্তের ছেলে, সাদ জানান, এই ঘটনা গত ৫ বছর আগের। আমার বাবা এই কাজ করতেই পারে না। এটি একটি চক্রান্ত। আমার বাবাকে ফাঁসানো হয়েছে।
অভিযুক্ত কামরুজামান কামরু(জামান) জানান, এই বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাই না।আপনারা যা লেখার লেখেন কিছু যায় আসে না।
মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন,এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। নিশ্চয়ই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।