গণ অভ্যুত্থানের পরে পুলিশ থাকে না, সেখানে বিশৃঙ্খলা হওয়াটা স্বাভাবিক-টুকু
লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, আমরা বিএনপি লড়াই করবো গণতন্ত্র ফেরত আনবো। আমরা সমসাময়িক কয়েকটি বিপ্লব দেখেছি, ইরাকে ও মিশরে। যেখানে গণঅভ্যুত্থানের পরে পুলিশ থাকে না, সেখানে বিশৃঙ্খলা হওয়াটা স্বাভাবিক। বিপ্লব হওয়ার পর বিপ্লবের রেশ থাকে। এই রেশ যখন জনপতিত হয়, তখন একদল বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। আমরা বিএনপি ওই বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে আছি এবং থাকবো। খুনি শেখ হাসিনার আদালত আমাকে ৯ বছরের সাজা দিয়েছিলো, ২ বছর হয় দেশে ফিরেছি। আমি হাসিনার বিচার মানি নাই। আমি বলেছি, এই বিচার মানি না এবং হাসিনার কাছে আত্মসমর্পণের কোন অর্থ হয় না। খুনি শেখ হাসিনার কাছে আমি মাথা নত করি নাই।
লালমনিরহাটে বড়বাড়ী শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয় মাঠে মঙ্গলবার শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্ণামেন্টের ৬ষ্ঠ আসরের ৮ম দিনের শেষ সেমিফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, কারও পদলেহন না করে, নতুন কমিশন জনগণের ভোটাধিকার ফেরাতে কাজ করুক এমনটাই চাওয়া নির্বাচন কমিশনের কাছে।
টুকু আরো বলেন, 'আওয়ামী লীগ চলে গেছে, আমরা ভেবে ভেবে খুশি হই। কিন্তু খুশি হওয়ার কোনো কারণ নেই। এদের চর-অনুচর এখনো বাংলাদেশের রাজনীতি, সংস্কৃতি, সচিবালয়, পুলিশ, মিলিটারি—যেখানে বলেন, এদের চর রয়ে গেছে।' 'এদের রেখে কোনো পরিস্থিতিতেই আপনি পরিপূর্ণ গণতন্ত্র বাংলাদেশে কায়েম করতে পারবেন না,' বলেন তিনি।
'জামায়াতে ইসলামী, বিএনপি ও অন্যান্য দল বিভিন্ন কথা না বলে, যদি একটি কথায় আসতে পারি, যদি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে পারি, তাহলে দেশটা পুনর্গঠিত হবে। না হলে এই দেশটা নিয়ে সারা জীবন আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত কিন্তু খেলতেই থাকবে। এটা কখনোই হতে দেওয়া যাবে না।'
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয়তাবাদী কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সভাপতি শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপি-র সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু ও টুর্ণামেন্টের সদস্য সচিব লালমনিরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক একেএম মমিনুল হক প্রমুখ।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে টুকু বলেন, অহংকার করবেন না। অহংকার করলে কী হয় তা হাসিনার পরিণতি দেখে শেখেন। যারা আমাদের বের হতে দেয় নাই, আজ তারা সবাই পালিয়েছে। এটাই নিয়তি।
বিএনপি-র সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে বিএনপির মূল দাবি ছিল সংস্কার করে শান্তিপূর্ণ, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করে দেওয়া। আমরা মনে করি যতদিন পর্যন্ত অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না, ততদিন দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে না।