বদরগঞ্জে ওলামা মাশায়েখ ও তাওহীদি জনতার বিক্ষোভ, স্মারক লিপি প্রদান
ইজতেমায় হামলা ঘটনার প্রতিবাদে
আঞ্চলিক প্রতিনিধি:
ঢাকার টঙ্গী ইজতেমার মাঠে রাতে ঘুমন্ত নিরীহ সাধারণ মুসলমানদের উপর সাদপন্থীদের অতর্কিত বর্বর হামলা ঘটনায় রংপুরের বদরগঞ্জে স্মারকলিপি প্রদান করে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) শনিবার দুপুরে স্থানীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করা হয়। পরে ইউএনও’র মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
বদরগঞ্জ উপজেলার ওলামা মাশায়েখ, তাবলীগ জামাত ও তাওহীদি জনতার পক্ষে ওই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা বশির আহম্মেদ, মুফতি মোঃ জাকারিয়া হোসাইন, মুফতি মোঃ হাসানুল ইসলাম, মুফতি আব্দুল্লাহ, মাওলানা ওয়াদুদ হোসেন ও মাওলানা মেনহাজুল ইসলামসহ বিভিন্ন মাদ্রাসা ও মসজিদের ইমামগণ। সভা শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমানের মাধ্যমে অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
উপস্থিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত ১৮ ডিসেম্বর টঙ্গী ময়দানে ঘুমন্ত মুসল্লিদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এতে চারজন নিহত হন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র ও তাওহীদি জনতার তাজা রক্তের বিনিময়ে অর্জিত ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু বর্তমানে এই দেশ বিভিন্ন অপশক্তির নানাবিধ ষড়যন্ত্রে জর্জরিত। দেশের সংকটময় পরিস্থিতি যেন আর অবনতি না হয় সেজন্য ওলামায়ে কেরামের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দাবী প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে পেশ করা হয়।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে টঙ্গী মাঠে হামলা বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা নয়। এটি পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাকাÐ। এর বিচার করতে হবে। এ যেন বিগত ৬ বছর পূর্বের ২০১৮ সালের ১ লা ডিসেম্বরের পুনারাবৃত্তি। যাতে তারা আওয়ামী লীগের কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের নিয়ে সাধারণ সাথী এবং ময়দানে অবস্থিত মাদ্রাসার ছোট ছোট ছাত্রদের উপর হামলা করেছিল। ফ্যাসিবাদ ও ইন্ডিয়ার দোসর ওয়াসিফ এর সরাসরি নির্দেশে এই হত্যাযজ্ঞ হয়েছে।
আরো উল্লেখ করা হয়, সাদ সাহেব বিতর্কিত একজন আলেম। যার ব্যাপারে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুহাক্কিক উলামায়ে কেরামের দ্বিমত রয়েছে। পূর্বেও তার বাংলাদেশে আসাকে কেন্দ্র করে দেশে নৈরাজ্যের সৃষ্টি হয়েছে। এবারও যদি উনি বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করে, তাহলে পূর্বের মতোই উলাময়ে কেরামসহ সাধারণ জনগণ তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান নিবে।