৩০ পৌষ, ১৪৩১ - ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ - 13 January, 2025

কুড়িগ্রামে দিনব্যাপী গ্রামীণ খেলাধুলায় মেতে উঠল সব বয়সী মানুষ

আমাদের প্রতিদিন
2 weeks ago
57


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামে শতাধিক নারী-পুরুষ নিয়ে দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। খেলা দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় জমায়। যা সব বয়সী মানুষের মাঝে জুগিয়েছে বিনোদনের খোড়াক।

গতকাল (২৩ ডিসেম্বর) সোমবার কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের ডাক্তারপাড়া গ্রামে দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলাধুলার আয়োজন করে দুর্বার তারুণ্য বাংলাদেশ ও শহিদ ডা. ছফর উদ্দীন স্মৃতি সংঘ। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে খেলায় বিজয়ীদের মঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

সারাদিনের হাড়ভাঙ্গা খাটুনির পর এই বিনোদন আনন্দ যেন উৎসবে পরিণত হয়েছে। সকাল থেকে আশেপাশের গ্রামের কৌতুহলী মানুষ ভিড় জমান এখানে। এলাকার সব বয়সী মানুষের অংশ গ্রহণে সৃষ্টি হয় এক আনন্দঘন পরিবেশ। কিছুক্ষণের জন্য অনেকে যেন নিজের বয়স ভুলে ফিরে যান অতীতে কিংবা শৈশবে। গত তিন বছর ধরে এই গ্রামে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে আসছে সংগঠন দুটি।

অনুষ্ঠানে গ্রামটির বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ ও শিশুদের নিয়ে আয়োজন করা হয় চোখ বেঁধে হাঁস ধরা, তৈলাক্ত কলা গাছ বেয়ে ওঠা, পানিতে বালিশ যুদ্ধ, হাড়িভাঙ্গা, সাঁতার, বিস্কুট দৌড়, যেমন খুশি তেমন সাজোসহ নানান ধরণের বিনোদনমূলক খেলাধুলা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেলগাছা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মো: মাহবুবুর রহমান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ মাহফুজার রহমান খন্দকার, বেলগাছা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম, জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের প্রতিনিধি এম.এ সাঈদ মিয়া,বিএনপি নেতা খলিলুর রহমান, দুর্বার তারুণ্য বাংলাদেশ ও শহিদ ডা. ছফর উদ্দীন স্মৃতি সংঘের সভাপতি কে.এম রেজওয়ানুল হক নুরনবী প্রমুখ।

খেলা দেখতে আসা মো: রোকনুজ্জামান বলেন, এসব খেলা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। এই খেলাগুলো গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। প্রায় ১০-১৫ বছর পর গ্রামের অতীত খেলা দেখে খুবই আনন্দ পেলাম।

শিক্ষার্থী আহসানুল ইসলাম জানায়, টিভিতে মাঝে মধ্যে এসব খেলা দেখি। এসব খেলার কথা অনেক শুনেছি। আজ সচোখে দেখে খুব মজা করছি। নতুন প্রজন্মের জন্য এসব খেলা অব্যাহত রাখা উচিত।

দুর্বার তারুণ্য বাংলাদেশ ও শহিদ ডা. ছফর উদ্দীন স্মৃতি সংঘের সভাপতি রেজওয়ানুল হক নুরনবী বলেন, কালের বিবর্তনে গ্রামীণ খেলাধুলা হারিয়ে যাচ্ছে। আধুনিক যুগে মোবাইল ইন্টারনেটের কারণে এসব খেলা থেকে মানুষজন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানাতে এ খেলার আয়োজন করা হয়েছে। সরকার ও সচেতন মহলের উচিত গ্রামীণ খেলাধুলাকে বাঁচিয়ে রাখতে সুদৃষ্টি রাখা।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth