এখনও ক্ষেতের মাঝে ভূত! ক্ষেতে যেন কারো নজর না লাগে
তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি:
ক্ষেতের তাজা-ডাগর ফসল পশু-পাখি ও মানুষের কুনজর থেকে প্রতিহিত করতে এখনও কৃষকরা তাদের ফসলের জমিতে খড়, বাঁশ, কালো পাতিল ও পুরাতন জামা-কাপড় দিয়ে ভূত বানিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখে। খড়ের তৈরী মানুষ আকৃতির বাঁশ দিয়ে কালো পাতিলের এক পাশে সাদা রং বা চুন দিয়ে ভূত আকৃতির মুখমন্ডল আঁখিয়ে জামা-কাপড় দিয়ে অনেক কৃষক লাটি ও তীর ধনুক কিংবা ঝাড়– ও ব্যাগ হাতে দিয়ে এসব ভূত ফষলী জমিতে খাড়া করে রাখেন। উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের করলা চাষি কৃষক আবু তালেব জানান, ফসলী জমিতে এসব ভূত দেখলে, গরু-ছাগল বা পশুপাখী সাময়িকভাবে থমকে যায়। আর জমিতে যায় না। এ ছাড়া জমিতে ভাল ফসল দেখলে মানুষের ঈর্ষান্বিত কুনজর জমির ফসলে পড়লেও ফসলের কোন ক্ষতি হয় না। কৃষকরা বিশেষ করে আদা ও বেগুন ক্ষেত, ফুলকপি-বাঁধাকপি, মরিচ, করলা, লাউ ,ধান ও ধানের বীজতলা এ ধারনের ভূত বানিয়ে রাখে। এতে নিরাপত্তা জনিত সুবিধাও পাওয়া যায় বলে কৃষকরা জানান।