বেরোবির ছাত্র উপদেষ্টাকে ফুল দিলেন জুলাই আন্দোলনে বিরোধিতাকারী আওয়ামী পন্থীরা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়েরর(বেরোবি) জুলাই বিপ্লবে বিরোধী মদদপুষ্ট আবু সাইদ হত্যার ঘটনার দিনে হেলমেট পরিধানকারী ও আন্দোলনে বিপক্ষে সক্রিয় অবস্থান করা আওয়ামী পন্থীদের হাতে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ও সদ্য অধ্যাপক পদে পদোন্নতি এবং নতুন সিন্ডিকেট সদস্য পদ লাভ করায় ফুলেল শুভেচ্ছা জানানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল ১২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নির্দেশনা ও পরামর্শ দপ্তরের কক্ষে তাকে ফুলেল শুভেচছা জানায় বিশ্ববিদ্যালয়স্থ গঙ্গাচড়া উপজেলার চাকরিরত কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
এতে উপস্থিত ছিলেন গঙ্গাচড়া উপজেলার বর্তমান যুবলীগ নেতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের উপ-রেজিস্ট্রার মো: আবু তাহের, ডেসপাস শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার এবং আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় ঘটনাস্থলে ছাত্রলীগের সাথে হেলমেট পড়ে উপস্থিত থাকা মুক্তারুল ইসলাম, আওয়ামী পরিবারের সন্তান পরিবহন পুলের উপ-পরিচালক মোবাশ্বের আহমেদ,বঙ্গবন্ধু পরিষদ রংপুর জেলার সহ-সভাপতি প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অফিসার ড. প্রসন্নজিৎ সরকার, ছাত্রলীগের সাবেক সেক্রেটারি ও উপজেলা যুবলীগ সক্রিয় নেতা এবং স্বাধীনতা পরিষদের সদস্য সচিব শহীদ মুখতার ইলাহী হলের সহকারী রেজিস্ট্রার আল আমিন ইসলাম, আওয়ামী পন্থি অফিসার ক্লাব স্বাধীনতা পরিষদের সদস্য প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের উপ রেজিস্ট্রার ইকবাল হোসেন এবং জুলাই আন্দোলনে প্রত্যক্ষভাবে আবু সাঈদ হত্যার স্থানে উপস্থিত থাকা কর্মচারী সবুজ মিয়া। এছাড়াও আরো অনেকে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট মহলে চলছে নানা ধরণের সমালোচনা ও গুঞ্জন।
প্রশাসনিক ভবনের একাদিক কমকর্তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,আবু তাহেরের নিজের দুলাভাই জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনসুর আহমেদ এখন দেখছি তারা জামায়াত বিএনপি সাজার চেষ্টা করছে।আর আল আমিন গঙ্গাচড়া উপজেলার এমপি বাবুলের প্রধান পৃষ্ঠপোষকতার ও নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করেছে।
একাধিক কর্মকর্তা, শিক্ষক বলেন, আওয়ামীপন্থীদের এবং জুলাইয়ের বিরোধিতাকারীদের এভাবে দ্রুত পূর্নবাসন করা হলে বিপ্লবের চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে।