১ ফাল্গুন, ১৪৩১ - ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ - 13 February, 2025

গঙ্গাচড়ায় জনবল সংকটে ব্যহত স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা

আমাদের প্রতিদিন
3 weeks ago
266


নির্মল রায়,গঙ্গাচড়া (রংপুর):

রংপুরের গংগাচড়া উপজেলায় জনবল সংকটের ফলে ব্যহত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ ইউনিয়ন পর্যায়ে বিরাজ করছে একই চিত্র। জনবল সংকটের পাশাপাশি রয়েছে চিকিৎসা সরঞ্জাম স্বল্পতাও।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গঙ্গাচড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২১ পদের বিপরীতে বর্তমানে ১৩ জন ডাক্তার কর্মরত আছেন। ১০ জন কনসালট্যান্ট ডাক্তারের মধ্যে কর্মরত আছেন ৭ জন। আবাসিক মেডিক্যাল অফিসারের পদটিও শূন্য। দ্বিতীয় শ্রেণির মঞ্জুরিকৃত ৯৩ পদের বিপরীতে ৩৫ জনের পদ শূন্য। বিভিন্ন ইউনিয়নের উপ- স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়োগপ্রাপ্ত ডাক্তারদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংযুক্ত করে জোড়াতালি দিয়ে  চালানো হচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবা। এতে বঞ্চিত হচ্ছে ইউনিয়ন পর্যায়ের লোকজন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্সরে মেশিনটিও যুগ যুগ ধরে অকেজো অবস্থায় রয়েছে।

জানা যায়, ৩১ শয্যার এ হাসপাতালটি ২০১১ সালে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মজুরিকৃত ২১ জন ডাক্তারের মধ্যে তিন জন কনসালট্যান্টসহ বর্তমানে মোট ৮ জন ডাক্তারের পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে মেডিক্যাল অফিসার এক জন, জুনিয়র কনসালট্যান্ট (মেডিসিন) এক জন, জুনিয়র কলসালট্যান্ট (কার্ডিওলজি) এক জন, জুনিয়র কনসালট্যান্ট (চক্ষু) এক জন, মেডিক্যাল অফিসার ইউনানী ১ জন, অ্যানেসথেসিওলজিস্ট এক জন।

এদিকে প্রতিদিন গঙ্গাচড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বহির্বিভাগে ৬০০ থেকে ৭৫০ রোগী আসে। রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্মরত ডাক্তাররা। জরুরি বিভাগের কার্যক্রমও চলছে পিয়ন কিংবা স্বাস্থ্য সহকারী দিয়ে-এমন অভিযোগ রয়েছে সেবা নিতে আসা লোকজনের।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু মো. আলেমুল বাসার চিকিৎসকসহ জনবলের সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, 'যেখানে ৭-৮ জন চিকিৎসক লাগে সেখানে আছে মাত্র ২ জন।

৩ জন কনসালট্যান্ট ডাক্তার নেই । দ্বিতীয় শ্রেণির ৯৩টি পদের বিপরীতে ৩৬টি পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে স্বাস্থ্য সহকারী ১৫ জন, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ৭ জন, ফার্মাসিস্ট ২ জন, পরিসংখ্যানবিদ ১ জন, মেডিক্যাল টেকনোলজিষ্ট ১ জন, জুনিয়র মেকানিক ১ জনসহ প্রধান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক পদটি অবসরজনিত কারণে গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে শূন্য। সহকারী নার্সের একটি পদ শূন্য। এক্সরে মেশিনটি যুগ যুগ ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেটি সচল করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'

উপজেলা সহকারী পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হোসনে আরা বলেন, 'জনবল সংকটের কারণে খুব করুণ অবস্থার মধ্যে আছি।' তিনি আরো জানান, চরে কোনো মাঠকর্মী নেই। পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরে মঞ্জুরিকৃত পদের সংখ্যা ৮৮। ওয়ার্ডভিত্তিক ৫৯টি পদের মধ্যে ২৫টি পরিবার কল্যাণ সহকারীর পদ অনেক দিন থেকে শূন্য। ভিজিটরের ১০ পদের মধ্যে পাঁচটি শূন্য। উপসহকারী মেডিক্যাল কর্মকর্তার ছয়টি পদের তিনটি শূন্য। এ ছাড়াও তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কিছু পদ শূন্য রয়েছে। তিস্তা নদীর চরাঞ্চলে কোনো মাঠকর্মী নেই।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth