৩০ মাঘ, ১৪৩১ - ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ - 13 February, 2025

ভূরুঙ্গামারীতে জেলা পরিষদের জায়গা লিজ নিয়ে পাকা  স্থাপনায় দখল করার অভিযোগ

আমাদের প্রতিদিন
3 weeks ago
177


ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

ভূরুঙ্গামারীর শিলখুড়ি ইউনিয়নে জেলা পরিষদের জায়গা লিজ নিয়ে পাকা  স্থাপনা করে এক যুবলীগ নেতার দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সরেজমিন ও অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের পাগলারহাট বাজারের তহশীল অফিস সংলগ্ন জেলা পরিষদের জায়গাটি সরকারীভাবে বাউন্ডারী দেয়াল রয়েছে। তার পার্শ্ববতী জায়গার মালিক মৃত জয়নাল আবেদীন এর পুত্র ও শিলখুড়ি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মোশারফ হোসেন রঞ্জুর মামার দোকান ঘর রয়েছে। সে উক্ত জেলা পরিষদের জায়গাটি লিজ নিয়ে তার দোকান ঘরের দেয়াল ও ভূমি অফিসের সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে একত্রিত করে পিলার করে অবৈধ পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছে। যা সরকারী সম্পত্তি দখলের পায়তারা। উক্ত জায়গাটি তহশীল অফিসের মেইন ফটকের সাথে লাগানো এবং পাগলারহাট বাজারের একটা অংশ প্রতি হাটবারে উক্ত জায়গায় ধান,গম,ভুট্টা,ও সরিষা বেচা কেনা হয়। এই জায়গাটি ব্যক্তি দখলে চলে গেলে এলাকার মানুষের অনেক দূর্ভোগের সম্মুখীন হতে হবে। তাই এলাকাবাসী জায়গাটির লিজ বাতিল করে দখলমুক্ত রেখে জনগনের সুবিধার্থে উম্মুক্ত রাখার দাবিতে সরাসরি গত ২০ নভেম্বর/২৪ ইং তারিখে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে পাকা স্থাপনার কাজটি চলমান রয়েছে। একাধিকবার এলাকাবাসী স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করলেও কোন প্রতিকার হয়নি। স্থানীয় আবুল হোসেন, আনোয়ার হোসেন,ইমরান ও আব্দুল গফুর জানায়, রন্জু বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের একজন বলিষ্ঠ নেতা হওয়ায় তার দাপট খাটিয়ে সরকারী জায়গা দখল ও বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের উপর দমন নিপিড়ন করার অভিযোগও রয়েছে। স্থানীয়দের জোরালো দাবী জায়গাটি সরকারের আওতায় এনে এবং ভূমি অফিসের পাকা ওয়াল ভাঙ্গা ও সরকারী জায়গা অবৈধভাবে দখল করে বসবাস করার উপযোগি করে তোলার জন্য তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

এ ব্যাপারে ইউএনও গোলাম ফেরদৌস জানান, মোশারফ হোসেন রন্জু কে একাধিকবার ডেকে এনে পাকা স্থাপনা করা নিষেধ করা হলেও সে রাতের আধারে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের বাউন্ডারী ওয়াল ভেঙ্গে পাকা অবকাঠামো নির্মাণ কাজ করে আসছেন।

সহকারী কমিশনার ভূমি, তাহমিদুল ইসলাম ভূমি অফিসের পাকা বাউন্ডারী ওয়াল ভাঙ্গার কথা স্বীকার করে জানান, সে জেলা পরিষদ হতে লিজ গ্রহণ করে ১৪২০ বাংলা সন পর্যন্ত লিজমানি পরিশোধ করেছেন। পরবর্তী সময়ে লীজ নবায়ন বা অবকাঠামো নির্মাণের অনুমোদনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অভিযুক্ত ব্যক্তি কোন প্রকার কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। পাকা স্থাপনা ভাঙ্গাসহ তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা পরিষদে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরুজুল ইসলাম জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়ে ইউএনও কে তদন্ত করতে দেওয়া হয়েছিল । অভিযোগের সত্যতার প্রতিবেদন পেয়েছি, গতকাল মিটিং এ ডিসি স্যার না আসায় বিষয়টি উপস্থাপন করা সম্ভব হযনি। তবে ইউএনওর সাথে সরাসরি মৌখিক কথা হয়েছে।

শিলখুড়ি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন জানান, ভূমি অফিসের পাকা বাউন্ডারী ওয়াল আমি আসার পূর্বে কিছু ভেঙ্গেছে। আমি গত ২৬ সেপ্টম্বর/২৪ ইং যোগদানের পর কিছু ভেঙ্গেছে বাস্ততার কারণে উদ্ধর্তন কতৃপক্ষকে জানানো হয়নি।  এ ব্যপারে রন্জু আহমেদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে,তাকে পাওয়া যায়নি।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth