আবু সাঈদ সহ সকল হত্যা মামলার বিচার যেন আন্তর্জাতিক মানের হয় সেটি নিশ্চিত করা হবে : রংপুরে প্রসিকিউটর মইনুল

নিজস্ব প্রতিবেদক:
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর এস এম মইনুল করিম বলেছেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আবু সাঈদসহ সকল হত্যা মামলায় শুধু নামে নয় মানে আন্তর্জাতিক বিচার নিশ্চিত করতে চায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আজ সোমবার (২০ জানুয়ারী) সকালে আবু সাঈদ হত্যার ঘটনাস্থল রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নং গেটের সামন এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
ব্যারিস্টার মইনুল বলেন, আবু সাঈদ হত্যা মামলার অভিযোগ এক সপ্তাহ আগে ট্রাইব্যুনালে হয়েছে। সে কারণেই তদন্ত করার জন্য ১২ সদস্যের একটি টিম রংপুরে এসেছি। যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত শেষ করে এ ঘটনায় মামলা হবে এবং গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে। এবং গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হবে। পরিদর্শনের সময় ঘটনার এস্কেচ ম্যাপ তৈরি সহ ভিসির কনফারেন্স রুমে ঘটনাস্থলে এবং প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ছাড়াও ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের মূলফুটেজ সংগ্রহ করেন ফরেনসিক পরীক্ষা করার জন্য। "
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মামলায় অভিযুক্ত হবেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রসিডিউটর ব্যারিস্টার মইনুল বলেন, এই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিযুক্ত হবেন কিনা সেটিও তদন্তের পর বলা যাবে। জড়িতরা কেউই ছাড় পাবে না।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা হলে আবু সাঈদসহ অন্যান্য ঘটনায় পূর্বের মামলাগুলোর কি অবস্থা হবে প্রসঙ্গে প্রসিকিউটর মইনুল বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের মামলা একটি ভিন্ন মামলা। শহীদ আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় এর আগে যে মামলা হয়েছে সেই মামলা তার নিজস্ব গতিতে চলবে। ওই মামলা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় কোন প্রভাব ফেলবে না।
ব্যারিস্টার মইনুল জানান, " আবু সাঈদ ছাড়াও রংপুরে জুলাই আন্দোলনে নিহত সকল শহীদদের৷ নিহত হওয়ার ঘটনার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করবেন তারা। তিন দিনের সফর শেষে আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকা ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে তাদের।"
সাক্ষী ছাড়াও অপরাধ চাইবো না অপরাধ ট্রাইব্যুনালে টিম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ডঃ শওকত আলীর সাথেও পৃথকভাবে কথা বলেন।
এর আগে গত ১৬ই জুলাই বৈষম বিরোধী আন্দোলনের সময় গেল ১৬ জুলাই দুপুর দুইটা সতেরো মিনিটে তোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নং গেটের সামনে পুলিশের গুলিতে মারা যান রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। এই ঘটনার পর বাড়তি মাত্রা পায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ৫ ই আগস্ট পদত্যাগ করে পালিয়ে যায় এই সময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে বলছে বাংলাদেশের কার্যক্রম।