মাঘের শীতে কাঁপছে কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
মাঘ মাসের ২য় সপ্তাহে চলতি মৌসুমী শীতের হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উত্তরের জেলা কুড়িগ্রাম। শীতের তীব্রতায় বেশি কষ্টে নিম্ন আয়ের মানুষগুলো । বিশেষ করে জেলার নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের মানুষ বেশি বিপাকে পড়েছেন। এসব অঞ্চলের শিশু ও বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছেন শীতজনিত রোগে। লোকজন দিনের খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন।
বৃহঃবার(২৩ জানুয়ারি) কুড়িগ্রামে সকাল ১০টা পর্যন্ত এখনো দেখা মেলেনি সূর্যের। সড়কে হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলো চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে।
গতকাল(সোমবার) সকাল থেকে কনকনে হিমেল বাতাসের কারণে ঠান্ডা আরো বেশি অনুভূত হচ্ছে।
সদরের শুলকুর বাজারের শ্রমিক রুপভান বেওয়া বলেন,’জারতে আজ হাত-পাও শিষ্টা নাগছে। আজ মাটি কাটবের যাং নাই। ঠান্ডাত বের বার মনায় না।’
সদরের ধরলা পাড়ের ঘোড়া চালক রশিদ মিয়া বলেন,’বেলা ১০টা বাজে এল্যাও সূর্য ওঠে নাই। লোকজনের আনা-গোনা কম । চরত মাল ধরি যায়,লোকো নাই মাল ধরি যায় কেমন করি। ব্যবসা ভালো যাচ্ছে না।’
জেলায় শীত নিবারণের জন্য সরকারিভাবে দুঃস্থদের জন্য যে কম্বল বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল । এখনো জেলার চরের বসবাসরত মানুষরা পাননি সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত কম্বল।
যাত্রাপুর ইউনিয়নের পোড়ার চরের বাসিন্দা শাহিনা বেগম বলেন,’হামরা নদী পাড়ের মানুষ । এল্যাউ নতুন সরকারের কম্বল পাইলং না। শীতে চলি যায় আর কোনদিন কম্বল পামো।’
পাশের খেয়ার আলগা চরের নাদু শেখ বলেন,’বাবা ঠান্ডাতে কাম-কাজ করা খুব মুশকিল হয়া গেইছে। চেয়ারম্যান-মেম্বর কাইয়্যো হামান চরত আসে নাই কম্বল ধরি।’
জেলার ত্রান ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা মো.আব্দুল মতিন জানান,জেলার ৯ উপজেলায় ৩৪ হাজার ৭২২ টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। চাহিদা ভেদে বিতরণ কাজ চলমান।’
কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান,কুড়িগ্রামে বৃহঃবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ০৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে । তাপমাত্রা আরো ২ থেকে ৩ দিন কমার সম্ভাবনা রয়েছে।