বিচারিক এবং রাজনৈতিক ঐক্যমতের ভিত্তিতে তফসিল ঘোষণার সময় যারা নিবন্ধিত থাকবেন, তাদেরকে নিয়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে: ইসি সানাউল্লাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিচারিক এবং রাজনৈতিক ঐক্যমতের ভিত্তিতে তফসিল ঘোষণার সময় যারা নিবন্ধিত থাকবেন, তাদেরকে নিয়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ( ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মোঃ সানাউল্লাহ।
তিনি আরও বলেছেন, অতীতে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের কারণে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে সেখান থেকে উঠে আসারজন্য যা যা করা দরকার বর্তমান নির্বাচন কমিশন সেটা করবে। রংপুরে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
রোববার ( ২৬ জানুয়ারি) রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ভোটার হালনাগাদ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য এবং সাংবাদিকদের সাথে আলাপের সময় এসব কথা বলেন তিনি।
রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল, পুলিশ সুপার আবু সাইম।
মতবিনিময় সভায় যোগ দিয়ে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মোঃ সানাউল্লাহ বলেন, জুন মাসের মধ্যেই ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে, আগামী বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে নতুন ভোটাররা তালিকাভুক্ত হবেন, তবে এর মাঝে কোন আইন দ্বারা তাদের তালিকাভুক্ত করার বিষয় থাকলে সেটাও করতে হবে। ভোটার হালনাগাদ প্রক্রিয়া একটি স্বচ্ছ নির্বাচন করার অংশ। একটি সুষ্ঠু অবাধ এবং গ্রহনযোগ্য নির্বাচন অুনষ্ঠানের জন্য সবাইকে স্বচ্ছতার সাথে কাজ করারও নির্দেশনা দেন তিনি।
পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ। বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা করা প্রয়োজন তাই তাই করা হবে। যাতে করে সবাই সমভাবে সবার দিকে তাকান। কারো দৃষ্টিতে তেখার কোন সুযোগ নাই।
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠান হিসেবে শুধু পুলিশ নয়, সকল প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি নস্ট হয়েছে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের কারণে।সেটা নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে সবাই আমরা উপলব্ধি করি আমাদের সরবার ভাবমূর্তি পূনরুদ্ধার করতে হবে। সেটার একমাত্র উপায় হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচন। আমি নিশ্চিত সেটা সবাই আমরা করতে বদ্ধ পরিকর। ‘
সানাউল্লাহ বলেন, ‘ তফসিল ঘোষনার সময় পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। দেখতে হবে সার্বিক রাজনৈতিক ও বিচারিক প্রক্রিয়া কোথায় গিয়ে দাড়ায়। এবং সেই সময় যারা নিবন্ধনভুক্ত থাকবে তাদেরকে নিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সুতরাং আগে থেকে কোন কিছু বলা যাবে না, কারা নির্বাচন করতে পারবে। কারা নির্বাচন করতে পারবে না। এটি একটি বিচারিক প্রক্রিয়া ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞার বিষয়, সিদ্ধান্তের বিষয়। এবং এখানে একটা ঐক্যমতের বিষয়ও আছে।
সানাউল্লাহ বলেন, ‘ আমরা নিশ্চিত করবো আমাদের যে পুল অব অফিসার আছে তাদের মধ্যে থেকে বেছে যারা নিরপেক্ষ এবং কাজ করার মতো সাহসি তাদেরকেই আমরা নির্বাচনে যুক্ত করবো। শুধু নির্বাচনে যুক্ত করাই না, তাদেরকে সম্পুর্ন ক্ষমতায়ন করবো। যাতে তারা স্বচ্ছভাবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে।
সানাউল্লাহ বলেন, ‘ নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে যদি সরকার আগে বা পরে বা কিছু সংখ্যক স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়। সরকার যদি সেটা চায়, তাহলে আমরা সরকারকে সহায়তা করবো।
সানাউল্লাহ বলেন, ‘ আমরা আগেই বলেছি জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইভিএমএ হবে না। তবে অন্যান্য নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
পরে তিনি রংপুর মহানগরীর লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজে ভোটার তালিকা হালনাগাদ প্রক্রিয়া কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও নীলফামারীতে মতিবিনিময় সভা এবং ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।