জামায়াত বিএনপি কোন সংঘাত নাই---নীলফামারীতে বিএনপি চেয়ারপারর্সনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু

নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
জামায়াত বিএনপি এটা বিভক্তি করার দরকার নাই, জামায়াত বিএনপি কোন সংঘাত নাই বল মন্তব্য করছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদষ্টা শামসুজ্জামান দুদু। তিনি আরো বলেন, জামায়াত বিএনপি সবাই নির্বাচন চাচ্ছে যক্তিক সময়র মধ্য। সম্ভবত প্রয়াজনীয় সংস্কার সংস্কার আর নির্বাচনর মধ্য কোন সংঘাত নাই। একটা ভাল নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সময় গ্রহন করার জন্য, অতিরিক্ত সময় যাত ব্যায় না করি। তিনি আরো বলেন, আমরা দীর্ঘ সময় আন্দোলন সংগ্রাম করেছি গণতন্ত্রের জন্য, গণতন্ত্রের প্রত্যাশায় গোসল করতে হয় পিপাসায় প্রত্যাশায় স্বরাচারক পতন ঘটিয়, ফ্যাসিবাদকে তাড়িয়ে বাংলাদেশ একটি জঞ্জাল মুক্ত হওয়ার পথ রয়েছে। আমরা এমন পরি¯তিত আমরা চাইছি যাতে বাংলাদেশ সঠিক, স্বাভাবিক, গ্রহনযোগ্য, অংশীদারমূলক একটি নির্বাচন হয়। সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জনগন তার পছন্দের দল ও প্রার্থীকে নির্বাচিত করবেন এবং এই নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকার তৈরী হবে তারা দেশ পরিচালনা করবে।
তিনি আজ মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় জেলা শহরের স্কাইভিউ রেস্টুরেন্ট নীলফামারী জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন,‘ এটি একটি সাংগঠনিক সভা। নীলফামারীর বন্ধুদের সাথে মতবিনিময় হচ্ছে। সংগঠনের সার্বিক পরি¯িতি কি সেটা দেখা। সংগঠনকে তৈরী করা। সংগঠনকে শক্তিশালী করা ও ঐক্যবদ্ধ করা। সমস্যাগুলাকে চিহ্নিত করে সমাধান করা। সেই জায়গায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল তার নেতা জনাব তারেক রহমান সংগঠনকে মানুষের প্রত্যাশা পূরণর জন্য পূর্বের মতোই মানুষের পাশে দাঁড় করাতে চায়। সেই লক্ষ্যই আজকের এই সভা। এই সভা থেকেই আমরা আগামী দিনের যা কর্মসূচি সেই কর্মসূচি গ্রহণ করবে।
দেশের বিগত দিনের ভয়াবহতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সীমাহীন দুর্নীতি হয়েছে এ দেশ। হাজার হাজার মানুষকে গুম খুন নিখোজ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এই দেশ গণতন্ত্রের প্রত্যাশায় ৭১ সাল মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, ৯০ এ গন অভ্যুথ্বান হয়েছে এবং সর্বশেষ ২৪ এর গন অভ্যুথ্বান। ছাত্র জনতা রক্ত দিয়ে দশক ফ্যাসিবাদ মুক্ত করছে। এখন বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা মানুষ স্বাছন্দে বাস করবে। কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষ স্বত্তির সাথে বাস করবে, শ্রমিক তার ন্যায্য অধিকার চায়, সাধারন মানুষ নির্বঘনে জীবন যাপন করত চায়। সরকারের কাছে তিনি ভোটাধিকার দ্রæত ফির পাবার প্রত্যাশা করার পাশাপাশি দ্রব্যমুল্য নিয়ন্ত্রণ আনার দাবী জানান তিনি। আইন শংখলা স্বাভাবিক অব¯ায় ফির আনা। এ বিষয়গুলা আমরা আগেও বলেছি এখনও বলেছি। ভবিষ্যত এটা মীমাংসা করা যায় কিভাবে বিএনপির স দায়িত্ব গ্রহণ করত চায় বলে আমরা রাস্তায় নেমেছিলাম। রাস্তার আন্দোলন যদি আমাদের নেতা বলেছিলেন যা ফয়সালা হবার এই রাজপথই ফয়সালা হয়েছে। ভবিষ্যত আমরা মনে করি গণতন্ত্র প্রত্যাশা যদি পূরণ না হয় তাহল সংকট আরো বাড়বে। এই সংকটকে নিয়ন্ত্রন করার জন্য নির্বাচিত একটি সরকার দরকার।’
সাংগঠনিক সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু। বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) আব্দুল খালেক, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম। জেলা বিএনপির সভাপতি আ.খ.ম আলমগীর সরকারর সভাপতিত্বে সাধারন সম্পাদক জহুরুল আলমর সঞ্চালনায় আরও উপ¯িত ছিলন বিএনপির কেদ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এ্যাড. মিজানুর রহমান চধুরী।