২ ফাল্গুন, ১৪৩১ - ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ - 14 February, 2025

'মানুষে খাওছে গোস ভাত, মোর জুটে নুন আকালি, ভর্তা-ভার্তি' ছামছুন্নাহারের জীবন যুদ্ধ

আমাদের প্রতিদিন
1 week ago
80


তাহাম্মেল হোসেন সবুজ, মিঠাপুকুর (রংপুর):

৭০ বছর বয়সী ছামছুন্নাহার বেওয়া। স্বামীকে হারিয়েছেন প্রায় ৪০ বছর আগে। একমাত্র মেয়ে আনজুমান আরা বেগমকে বহু কষ্টে বড় করে ময়েনপুর কদমতলা গ্রামে বিয়ে দিয়েছেন। এরপর থেকে একা হয়ে পড়েছেন ছামছুন্নাহার বেওয়া।

অভাব-অনটন যেন তাঁর জীবন সঙ্গী। ঠিকমত চলাফেরা করতে পারেন না। খেয়ে না খেয়ে কেটে যায় তাঁর দিনগুলো। জীবনের এই সংগ্রাম যেন এক দীর্ঘ যুদ্ধের মতো। ছামছুন্নাহার বেওয়া চেংমারী ইউনিয়নের পূর্ব মামুদেরপাড়া গ্রামে মৃত আছরাব পাইকারের স্ত্রী।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিধবা ছামছুন্নাহার বেওয়া থাকেন টিন দিয়ে ঘেরা একটি খুপড়ি ঘরে। একটি চৌকিতে তাঁর থাকার ব্যবস্থা। পুরাতন টিন দিয়ে নির্মিত ঘরটি ছাড়া আর কিছুই নেই তাঁর। এই কুটিরই একমাত্র সম্বল, যার মধ্যে বেঁচে থাকার প্রতিটি দিন কাটাচ্ছেন ছামছুন্নাহার বেওয়া।

ছামছুন্নাহারের মেয়ে আনজুমান আরা বেগম বলেন, খুব ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছি। অন্যর বাড়িতে কাজ করে, মাঝে মাঝে ভিক্ষার করে মা আমাকে বড় করেছেন। আমার বিয়ে হওয়ার পর মা একা থাকেন। তিনি এখন ঠিকমত চলাফেরা করতে পারেন না, খেতে পারেন না। প্রতিবেশি মানুষজন যে টুকু দেয়, সেটুকু দিয়েই খাবার জোটে। বেশিরভাগ সময় না খেয়ে থাকেন তিনি।

ছামছুন্নাহার বেওয়া বলেন, খুব কষ্টে আছি। মানুষে খাওছে গোস ভাত, মোর জুটে নুন আকালি, ভর্তা-ভার্তি। যেদিন আনদিব্যার পারি না, সেদিন ওংক্যায় থাকোছি। আল্লাহ কপালটা খারাপ করছে।

প্রতিবেশি রেজাউল করিম বলেন, অনেক কষ্টে দিন কাটছে ছামছুন্নাহারের জীবন। প্রতিবেশিরা যতটুকু দেয়, সেটুকু দিয়েই তাঁর দিন চলে। বেশিভাগ সময় তিনি না খেয়ে থাকেন। তার খাবারের ব্যবস্থা করা জরুরী।

মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহি অফিসার বিকাশ চন্দ্র বর্মন বলেন, ওই বিধবার বিষয়ে খোঁ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth