নাগেশ্বরীতে জনপ্রিয় হচ্ছে সমলয়ে ধানের চারা রোপন উৎপাদন খরচ কমায় খুশি কৃষকরা

শেখ মো. নূর ইসলাম, নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম):
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে কৃষকদের নিকট জনপ্রিয় হয়ে উঠছে রাইস ট্রান্স প্লান্টারের মাধ্যমে সমলয়ে ধানের চারা রোপন কার্যক্রম। এই পদ্ধতিতে চাষাবাদে কৃষি শ্রমিক তেমন প্রয়োজন না হওয়ায় উৎপাদন খরচ কমে বেশি লাভ হবে বলে মনে করছেন কৃষকরা। ফলে দিনে দিনে এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সমলয়ে চাষাবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষকরা জানান রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ধানের চারা রোপনরে ফলে জমিতে সঠিক মাপকাঠিতে চারা রোপন হয়। এতে করে একদিকে যেমন চারা কমলাগে অপরদিকে অল্প সময়ে বেশি জমিতে চারা রোপন করা যায়। ফলে শ্রমিকের তেমন প্রয়োজন পড়ে না। এতে করে কৃষি শ্রমিকের মজুরী মূল্যও প্রয়োজন নেই বলেও মনে করেন কৃষকরা। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিস থেকেও কৃষকদের নানাভাবে পরামর্শসহ টেকনিক্যাল সহযোগিতাও করছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ। উপজেলা কৃষি বিভাগ জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কৃষকদেরকে সমলয়ে চাষাবাদের উদ্বুদ্ধকরনের জন্য কৃষিযন্ত্র রাইস ট্রান্সপ্লান্টার প্রদান করা হয়েছে। ভাঙ্গামোড় এলাকার কৃষক লাভলু মিয়া জানান, বর্তমানে কৃষি শ্রমিক সংকটের কারণে অনেক সময় ধানের চারা রোপনে বিলম্ব হয়। তাই তিনি রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের সাহায্যে বোরো ধানের চারা রোপন করছেন। এভাবে অল্প সময়ে মধ্যে কম খরচে ধানের চারা রোপন করা যায় এতে করে ধান উৎপাদনে বেশি লাভবান হওয়া যায়। কৃষিযন্ত্র রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের চালক কৃষক ফেরদৌস হোসেন জানান, এই কৃষিযন্ত্রের সাহায্যে ৪৫ মিনিটে এক বিঘা পরিমাণ জমিতে চারা রোপন করা যায়। আর প্রতি বিঘায় জ্বালানী খরচ হিসেবে ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ডিজেলের প্রয়োজন হয়। কর্মসূচির অংশ হিসেবে উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের ভাঙ্গামোড় এলাকায় গতকাল দুপুরে রাইসপ্লান্টারের সাহায্যে ধানের চারা রোপনের মাধ্যমে সমলয়ে চাষাবাদ-এর উদ্বোধন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে খামারবাড়ি কুড়িগ্রামের উপপরিচালক কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন ধানের চারা রোপনের জন্য রাইসট্রান্সপ্লান্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র। যেটি কৃষকের সময় সাশ্রয় করবে এবং উৎপাদন ব্যয় কমাবে। আমরা কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কৃষকদের বীজ বপন থকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলা পর্যন্ত কৃষকদের কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে সহযোগিতা করে আসছি। যাতে কৃষকরা কম খরচে চাষাবাদে বেশি লাভবান হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিব্বির আহমেদের সভাপতিত্বে সমলয়ে চাষাবাদের উদ্বোধন ও কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খামারবাড়ি কুড়িগ্রামের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিশেষ অতিথি উপপরিচালক (শস্য) আসাদুজ্জামান খান, উপজেলা কৃষি অফিসার শাহরিয়ার হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ফিরোজ হোসেন, ভিতরবন্দ ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল আলম শফি প্রমুখ।