'জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই' শ্লোগানে ১৭-১৮ ফেব্রুয়ারি ১০টি স্পটে কর্মসূচি পালন উপলক্ষে কুড়িগ্রামে সংবাদ সম্মেলন

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই, এই স্লোগানে তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও তিস্তা মেগা প্রকল্প অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবিতে কুড়িগ্রামে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বলা হয় দু'দিন ব্যাপী কর্মসূচিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখবেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন ,তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কুড়িগ্রাম জেলার সমন্বয়ক ও জেলা বিএনপির আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা,সদস্য সচিব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ,সদস্য শফিকুল ইসলাম বেবু, হাসিবুর রহমান হাসিব, ডাঃ মারুফ, মহিউদ্দিন বিপ্লব, পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট বজলুর রশিদ, আশরাফুল হক রুবেল প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা পর্যায়ে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, আগামী ১৭-১৮ফেব্রুয়ারি দুপুর থেকে এই দু'দিন রংপুর বিভাগের তিস্তা পাড়ের ১০টি স্পষ্টে এ কর্মসুচি পালিত হবে। এর মধ্যে কুড়িগ্রাম জেলার তিস্তা নদীর অববাহিকার রাজারহাট উপজেলার বুড়িরহাট এবং উলিপুর উপজেলার থেতরাই এলাকার দুটি স্পটে হাজার হাজার মানুষ অবস্থান করবে দাবি আদায়ের জন্য।
বক্তারা আরও বলেন,তিস্তা নদী বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। তিস্তা নদী ভারতের সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ব্রহ্মপুত্র নদের সঙ্গে মিলিত হয়েছে।বাংলাদেশ অংশে তিস্তা নদীর দৈর্ঘ্য ১১৫ কিলোমিটার। দুপাড় প্রায় ২৩০ কিলোমিটার।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়,তিস্তা নদীর ৪৫ কিলোমিটার ভাঙন প্রবণ। এর মধ্যে প্রায় ২০ কিলোমিটার ভয়াবহ ঝুঁকিতে রয়েছে। কুড়িগ্রাম,নীলফামারী, লালমনিরহাট এবং রংপুর জেলার কয়েক লাখ কৃষক প্রতিবছর বন্যা এবং খড়ায় কৃষিতে হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি সম্মুখীন হয়ে আসছে।