সাঈদ হত্যা মামলা:সাবেক প্রক্টরকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বেরোবিতে বিক্ষোভ

বেরোবি প্রতিনিধি :
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই অভ্যু্ত্থানে আবু সাঈদ হত্যা মামলায় মূল জড়িতদের বদলে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক প্রক্টর ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মো. শরিফুল ইসলামকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বেলা ২টার দিকে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আবু সাঈদ হত্যা মামলায় শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারীদের মধ্যে সম্মুখসারিতে থাকা ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে তৎকালীন প্রক্টর মো. শরিফুল ইসলামকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদ জানান তারা। এ সময়, তাদের “বিচারের নামে প্রহসন/মানি না, মানবো না”, উই ওয়ান্ট জাস্টিস”, আবু সাঈদ হত্যার মূলহোতাদের গ্রেপ্তার/ করতে হবে করতে হবে”, প্রভৃতি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এ সময়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক খোকন ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগকে প্রশ্রয় দেওয়া তৎকালীন ছাত্র উপদেষ্টা ও পরামর্শ দপ্তরের পরিচালক সাব্বীর আহম্মেদ চৌধুরী যেখানে শিক্ষাছুটি নিয়ে সেইফ এক্সিট নিতে পারেন, সেখানে ১৬ জুলাই সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে কাজ করতে ইচ্ছে প্রকাশ করা প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য প্রক্টর শরিফুল স্যারকে আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামি বানানোর আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। ১১ জুলাই ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে উল্টো প্রক্টর স্যারকে দিয়ে তার ওপর হামলা হওয়ার মিথ্যা জবানবন্দি দিতে চাপ দেয়। কিন্তু প্রক্টর স্যার তা দেননি। তিনি যদি তা দিতেন তবে সেখানেই বেরোবির আন্দোলন থেমে যেত।
তিনি আরও বলেন, এতকিছুর পরও আবু সাঈদ হত্যা মামলায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা পরিচালনায় নেতৃত্ব দেওয়া বেরোবি ছাত্রলীগ নেতা পোমেল, বাবুল, টগর, হৃদয়কে বাদ দিয়ে শরিফুল ইসলাম স্যার ও ইমরান চৌধুরী আকাশের নাম আবু সাঈদ হত্যা মামলায় যুক্ত করে আসলে মূল জড়িতদের পার করে দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে। এই প্রহসন মেনে নেওয়া যায় না।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী জাকের হোসেন পাশা বলেন, সারা দুনিয়া দেখেছে যে আবু সাঈদকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে। তবুও বিচার কার্যক্রমকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে এখানে শরিফুল ইসলাম স্যারের নাম দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের প্রহসনের আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।
জাকের হোসেন আরও উল্লেখ করেন, ব্যক্তি হিসেবে দায়িত্ব পালনে শরিফুল স্যারের কমতি থাকতে পারে। তবে তাই বলে যে অপরাধ তিনি করেননি, সেই অপরাধের শাস্তি তাকে পেতে দেওয়া যায় না। আমরা ব্যক্তি শরিফুলের পক্ষে কথা বলছি না, আমরা কথা বলছি ন্যায়ের পক্ষে। আমরা চাই প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনা হোক।