৮ চৈত্র, ১৪৩১ - ২৩ মার্চ, ২০২৫ - 23 March, 2025

রংপুরে হেযবুত তাওহীদ নিষিদ্ধের দাবিতে ডিসি অফিস ঘেরাও মানববন্ধন

আমাদের প্রতিদিন
2 weeks ago
99


নিজস্ব প্রতিবেদক:

মহানবী সাঃ কে অবমাননা করার প্রতিবাদ করায় গ্রামবাসির ওপর হামলাকারী হেযবুত তাওহীদ নিষিদ্ধ এবং  হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে লাগাতর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ মুসলিম উম্মাহ নামের আন্দোলনকারীরা।

বুধবার ( ৫ মার্চ) দুপুরে নগরী কাচারী বাজারে মুসলিম উম্মাহ’র উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধন, ডিসি অফিস ঘেরাও ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি থেকে এই হুমকি দেয় তারা। এর আগে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কয়েক হাজার এলাকাবাসি কাচারীবাজারে এসে মানবন্ধন করে। এসময় তারা জঙ্গি সংগঠন দাবি হেযবুত তাওহীদকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিভিন্ন প্লাকার্ড প্রদর্শন ও শ্লোগান দেয় তারা। পরে সেখানে সমাবেশ করে।

বক্তব্য রাখেন  খেলাফত মজলিশের রংপুর মহানগর  সভাপতি তৌহিদুর রহমান মন্ডল, পীরগাছার পারুল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠিনিক সম্পাদক ইউসুফ আলী খান, জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সমন্বয়ক (উত্তরাঞ্চল হানিফ খান সজীব, মুসলিম উম্মাহ রংপুর আহবায়ক হাফেজ মাওলানা আমজাদ হোসেন, ছাত্র মজলিসের রংপুর মহানগর সভাপতি ইসমাইল হোসেন,  ইসলামী আন্দোলনের পীরগাছা উপজেলা সভাপতি ইউসুফ আলী মুসলিম উম্মাহে নেতা রবিউল ইসলাম রবি প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন থেকে হেযবুত তাহওহীদ রাসুল স. এবং ইসলামকে নিয়ে নানাধরণের বিরুপ মন্তব্য এবং ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ড করে আসছে। এর আগে আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায় তারা এসব ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ড করে। এখনও সেই তৎপরতা অব্যাহত রাখছে। কোন ধরণের কারণ ছাড়াই গ্রামবাসির উপর হেলমেট পড়ে অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তারা হামলা চালিয়ে প্রমাণ করেছে তারা উগ্রবাদি জঙ্গি। ২৪ ঘন্টার মধ্যে হিজবুত তাওহীদ নিষিদ্ধ এবং হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে হবে। এসময় বক্তারা প্রশাসনের নিরিলিপ্ত তার সমালোচনা করে বলেন  পুলিশ  উল্টো নিরীহ গ্রামাবসির বিরুদ্ধে হামলাকারীদের মামলা নিয়েছে। অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।  পরে দাবি বাস্তবায়নে ডিসির কাছে স্মারকলিপি দেয় তারা।

পীরগাছা থানার ওসি নুরুল আলম জানান, পীরগাছা উপজেলার সিদাম বাজার এলাকায় হেযবুত তাওহীদের জেলা সভাপতি আব্দুল কুদ্দুসের বাড়িতে অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছিল। ২৪ ফেব্রুয়ারি  অনুষ্ঠানস্থলে মিছিল যাওয়ার সময় হিজবুত তাওহীদের নেতাকর্মীদের সাথে কয়েকজন এলাকাবাসীর কথা কাটাকাটি হয়।

এ ঘটনার জেরে হেযবুত তাওহীদের নেতাকর্মীরা মাথায় হেলমেট পরিধান করে বিভিন্ন অস্ত্র  ও লাঠিশোঠা নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে হিজবুত তাওহীদের ৭ জন ছাড়াও  এলাকাবাসি ইমান আলী,  রবিউল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, ফিরোজ মিয়া, আব্দুল্লাহ, খুরশিদ আলম, বদিউজ্জামাল, আবুল বাশার, মোশাররফ হোসেন, মনছুর আহম্মেদ, রিক্সা চালক  আব্দুর রহিম, মফিজ মিয়া, ছাত্র আল আমিন, হাফিজুর রহমান, আবুল হোসেন, খোরশেদ আলম গুরুতর আহত হন।

ওসি আরও জানান, এখবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসি একত্রিত হয়ে পাল্টা আক্রমণ করে। দুইপক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় অন্তত ২০ জন আহত হয়। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা কয়েকটি বাড়ি ও মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় উল্টো পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ওপরও চড়াও হয় হিজবুত তাওহীদের লোকজন।

এ ঘটনায় হিজবুত তাওহীদের ৩৯ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ এবং ৩০০ জনে অজ্ঞাতনামার নামে মামলা করেছেন পবিত্রঝাড় দোকানিপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মিজানুর রহমান। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৭ জনকে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth