পীরগঞ্জের সাবেক এমপির বিনোদন কেন্দ্রসহ সম্পত্তি ক্রোক

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রংপুরে ডিগবাজি নেতা হিসেবে পরিচিত নুর মোহাম্মদ মন্ডলের বিরুদ্ধে দুদক আ্ইনে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় আটটি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ, তার মালিকানাধীন বিনোদন কেন্দ্রসহ ৩১৩০.৭৩ একর জমি এবং আনুমানিক ৯ কোটি টাকা মূল্যের সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করা হয়েছে। তিনি পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেস্টা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান। এর আগে তিনি জাতীয় পার্টি থেকে দুই বার এমপি নির্বাচিত হন। বিএনপি থেকে একবার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরে ডিগবাজি দিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে। শেষ বার আওয়ামী লীগ থেকে হয়ে যান উপজেলা চেয়ারম্যান। দেশের তিনটি বড় রাজননৈতিক দলের আমলে সুযোগ নিয়ে গড়েছেন অঢেল সম্পদ।
রোববার ( ৮ মার্চ) দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রংপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক রুবেল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশে নুর মোহাম্মদ মণ্ডলের সব সম্পদ ক্রোক করা হয়েছে।
এর আগে দুদকের পক্ষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদক রংপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক রুবেল হোসেন রংপুরের সিনিয়র স্পেশাল জজ ফজলে খোদা মো. নাজিরের আদালতে নুর মোহাম্মদ মণ্ডলের সব অস্থাবর-স্থাবর সম্পদ ক্রোক করা, সেই সঙ্গে তার নামে আটটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার আবেদন জানালে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।
দুদক কর্মকর্তা রুবেল হোসেন জানান, আওয়ামী লীগ নেতা নুর মোহাম্মদ মণ্ডলের মালিকানাধীন পীরগঞ্জে ৩১৩০.৭৩ একর জমির ওপর ‘আনন্দনগর’ নামে বিশাল পিকনিক স্পট কাম বেসরকারি বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংকে আটটি হিসাবে অনেক টাকা গচ্ছিত আছে। তার নামে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক আইনে মামলা রয়েছে। যার নম্বর নম্বর ২৬/২০২০ইং। ওই পিকনিক স্পট কাম বেসরকারি পর্যটনকেন্দ্র আনন্দনগর ক্রোক করে পীরগঞ্জ থানার ওসি এমএ ফারুককে রিসিভার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি ওই সম্পদের জিম্মাদার থাকবেন।
তিনি আরও জানান, ক্রোকের সম্পত্তি কোনোভাবে অন্যত্র স্থানান্তর এবং হস্তান্তর করতে না পারে এবং ওই সম্পত্তি সংশ্লিষ্ট কোনও প্রকার লেনদেন বা ওই সম্পত্তিকে কোনোভাবে দায়মুক্ত করা আইনগতভাবে নিষিদ্ধ করেছেন আদালত।
উল্লেখ্য, জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের রাজনীতি করা সাবেক দুই বারের এমপি, তিনবারের উপজেলা চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মণ্ডলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় রংপুর থেকে ২০২০ সালে সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয়ের উৎস বর্হিভূত সম্পদ অর্জন করায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। বর্তমান মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।