চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের কর্মবিরতিতে রংপুর মেডিকেলের আউটডোর সেবা বন্ধ, চরম ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক:
৫ দফা দাবিতে চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের কর্মবিরতিতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউটডোর সেবা বন্ধ রয়েছে। তবে আংশিক চলছে ইনডোর সেবা। এনিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগী ও স্বজনরা। তারা অতিদ্রুত চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের দাবি সমুহ মেনে নেয়ার জন্য সরকারের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বুধবার ( ১২ মার্চ) সরেজমিনে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের গিয়ে দেখা গেছে আউটডোর বিভাগের সব টিকিট কাউন্টার বন্ধ। নেই চিকিৎসক। কর্ম বিরতি করায় সকাল থেকেই আউটডোরে টিকিট বেচা বিক্রি এবং ওষুধ দেয়া কার্যক্রম বন্ধ আছে। সেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সেবা প্রার্থীরা। আউটডোরের সামনে অসংখ্য রোগীর ভির। কিন্তু টিকিট দেয়া হচ্ছে না। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগীরা।
এদিকে এমবিএস-বিডিএস ব্যতিত কেউ ডাক্টার লিখতে পারবে না এবং ম্যাটস শিক্ষার্থীদের স্যাকমো পদবী রহিতসহ ৫ দফা দাবিতে চিকিৎসকরা কর্ম বিরতি করায় বন্ধ হয়ে আছে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আউটডোর সেবা। বন্ধ ছিল ইনডোর সেবাও। তবে এমার্জেন্সি সার্ভিস দিয়ে সেবা চালিয়ে নেয় কর্তৃপক্ষ।
দাবি আদায় বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাস থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীরা মেডিকেল মোড়ে গিয়ে প্রধান সড়কে গিয়ে অবরোধ গড়ে তোলে। পরে সেখান থেকে বিক্ষোভ নিয়ে হাসপাতালের ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করে। এসময় বক্তব্য রাখেন, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্নি চিকিৎসক ডাক্তার রায়হান ও রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ফাইনালে ইযারের শিক্ষার্থী মোরশেদা আখতার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আমাদের কর্মবিরতি ও আন্দোলনের কারণে হয়তো রোগিদের সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে। কিন্ত এই ম্যাটস ও স্যাকমোদের যদি তাদের নামের আগে এই ডাক্টার পদবিটা দেয়া হয় এটা সারাজীবন যতদিন তারা বেঁচে থাকবো। যতদিন আমাদের দেশ তাকতে ততদিন তারা ভোগান্তিতে পড়বে। আমাদের যাদের টাকা পয়সা আছে। তারা তো চাইলেই সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়া বা পাশের দেশে যেতে পারবে। কিন্তু আমাদের যে সাধারণ জনগন তাদের কি হবে। তাদেরকে তো আমাদের দেশেই থাকতে হবে। চাইলেই তো তারা বিদেশে যেতে পারবে না। তাদের জন্যেই আমাদের এই আন্দোলন। এটা শুধু ডাক্টারদের আন্দোলন না। এটা সাধারণ মানুষের জন্য আন্দোলন। রোগিদের পক্ষ হয়েই আমরা এই আন্দোলন করছি।’ তারা আরও বলেন, মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা ৫ বছর পড়ে ইন্টার্নি করে চিকিৎসক হয়, আর তারা শাহবাগে আন্দোলন করে চিকিৎক হতে চায়। এটা অনৈতিক ও অযৌক্তিক।
এবিষয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুর রহমান বলেন, আউটডোর বন্ধ থাকলেও ইনডোরের কার্যক্রম চলছে এমার্জেন্সি টিম করে। এতে রোগিদের ভোগান্তি হচ্ছে। তিনি বলেন, আন্দোলনকারীদের দাবি-দাওয়া আমরা কেন্দ্রে পাঠিয়েছি। আশা করছি দ্রুত এই ঘটনার সমাধান হবে।