৮ চৈত্র, ১৪৩১ - ২৩ মার্চ, ২০২৫ - 23 March, 2025

নোমানী হত্যার বিচার দাবিতে রাবিতে শিবিরের গর্জন, ফাঁসি না দিলে রাজপথ ছাড়বে না কর্মীরা

আমাদের প্রতিদিন
1 week ago
44


রাবি সংবাদদাতা:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক শাখা সেক্রেটারি শহীদ শরিফুজ্জামান নোমানী হত্যার বিচার ও খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে জোহর নামাজ শেষে কাজলা গেট থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে বিনোদপুরে এসে শেষ হয়।

বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা 'নোমানী হত্যার বিচার চাই', 'শিবিরের একশন, ডাইরেক্ট একশন', 'আমার ভাই কবরে, ঘাতক কেন বাহিরে' সহ বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত করে তোলে পুরো ক্যাম্পাস এলাকা।

সমাবেশে শিবিরের রাবি শাখার বর্তমান সেক্রেটারি মুজাহিদ ফয়সাল বলেন, "২০০৯ সালের ১৩ই মার্চ নোমানী ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। এর পেছনে মূল ভূমিকা ছিল তৎকালীন উপাচার্য আব্দুস সোবহান, প্রক্টর চৌধুরী মো. জাকারিয়া এবং ছাত্র উপদেষ্টা গোলাম সাব্বির সাত্তারের। হত্যার পর তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদ দিয়ে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত ও বিচার চাই। যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে ন্যায়বিচার না হয়, আমরা আইন উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে রাজপথে নামবো।"

সমাবেশে শিবিরের সাবেক সভাপতি হাফেজ নুরুজ্জামান বলেন, "আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনকে ধ্বংসের নীল নকশা তৈরি করেছে। নোমানী ভাই ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের একজন মেধাবী সৈনিক। তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে ইসলামী ছাত্রশিবিরকে দুর্বল করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু আমরা দমে যাইনি, বরং দ্বিগুণ শক্তিতে এগিয়ে চলছি।"

শিবিরের রাবি শাখার বর্তমান সভাপতি মুস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, "নোমানী ভাইকে হত্যা করে তারা ভেবেছিল আমরা পিছিয়ে যাবো। কিন্তু আমরা প্রমাণ করেছি, শিবিরকে ধ্বংস করা সম্ভব নয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামের পতাকা আজও উড়ছে, আগামীতেও উড়বে ইনশাআল্লাহ।"

সমাবেশ শেষে মোনাজাতের মাধ্যমে শহীদ নোমানীর রূহের মাগফিরাত কামনা করা হয় এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিতের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth