পীরগঞ্জে ধুলাবালির উড়িয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রেজিষ্ট্রেশন বিহীন গাড়ি

"ঝুঁকিতে রয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবেশ"
আজাদুল ইসলাম আজাদ, পীরগঞ্জ রংপুর:
রংপুরের পীরগঞ্জের জাতীয় মহাসড়ক এবং গ্রামীণ জনপদের চলাচলের কোন বৈধতা না থাকলেও উপজেলার সকল রাস্তাঘাটে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাজারো ট্যাফে ও মাহিন্দ্র ট্রাক্টর। অদক্ষ ড্রাইভার শিশু কিশোর গাড়িগুলো নিয়ে বেড়াচ্ছে । আর এই চালকদের কারণে প্রতিনিয়তই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা আর ক্ষতি সাধিত হচ্ছে মানুষের এবং জানমালের।
উপজেলার কাঁচা পাকা গ্রামীণ সড়ক মাটি, ইট,বালু বহন কাজে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এসব গাড়ি। ড্রাইভারদের প্রশিক্ষণ না-থাকার কারনে স্কুল কলেজ, হাটবাজার এবং জনগুরুত্বপূর্ণ স্থান একাকার করে প্রতিদিন ছুটে চলে। এখানে প্রায় অর্ধ শতাধিক ইটভাটার কাজে নিয়োজিত এসব গাড়ি। নভেম্বর মাস থেকে শুরু করে জুন মাস পর্যন্ত গাড়িগুলো গ্রাম পল্লীর রাস্তাঘাটের খাল বাকল তুলে বেড়ানোর দৃশ্য চোখে পরছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ বালু বা মাটি বোঝাই গাড়িতে পলিথিন কি'বা ট্রিপল বাব্যহার কারা হচ্ছে না। গাড়িগুলোর মাটি বালু বাতাসে উড়িয়ে মানুষের নাক মুখের ভিতর প্রবেশ কছে এতে করে সবার ক্ষতি হচ্ছে। রমজান মাসকেও হিসাব করছে না তারা। ধুলাবালি মানুষের ভিতরে প্রবেশ করে হ্যাছি-কাশি ও সর্দিসহ শ্বাসকষ্ট যর্নিত রোগে আক্রন্ত হয়ে পরছে অনেকেই। গ্রামে কিছু ব্যক্তি দাদন ব্যবসার চালিয়ে টাকা কামিয়ে নতুন গাড়ির আমদানি করে, প্রশিক্ষণ ছাড়া শিশু কিশোর দিয়ে
অল্প টাকায় ড্রাইভার নিয়ে মাটি বালুর টিপ মারছে। এদের গাড়িতে প্রতিনিয়তই ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। ইতঃপূর্বে উপজেলার কয়েকটি সড়কে মানুষ এবং গৃহপালিত পশুর প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।
সরেজমিন দেখা যায়,এসব গাড়ির বেশিরভাগ চালকের বয়স ১২ থেকে ১৬ বছর। যাদের নেই কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন চালক ও গাড়ির মালিকের সাথে কথা হলে তারা বলছেন, ১২ থেকে ১৪ লাখ টাকা দামের গাড়ি সড়কে চলাচলের কোন অনুমতি নেই। রুট পারমিট না থাকায় কিছুকিছু স্থানে সারা বছর চাঁদা দিয়েই তাদের চলতে হয়।
ভ্যান চালকরা বলছেন, সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত হাজারো মাহিন্দ্র গাড়ি ইটভাটায় মাটি বালু এবং ইট নিয়ে দাপিয়ে বেড়ায়। এগুলোর গতিবেগ দেখে পথচারী এবং রিক্সাভ্যান চালকরা সবসময় আতঙ্কে থাকতে হয়। কখন যেন কার সাথে ধাক্কা খায়। এরা ছোট্ট বড়ো রাস্তা তোয়াক্কা না করে দ্রুতগদিতে দাপিয়ে বেড়ায়।
মোটরসাইকেল চালকরা জানান, সড়কে চলতে গেলে নানা জায়গায় পুলিশের অস্থায়ী চেকপোস্ট বসানো হয়। অথচ অবৈধ এসব ট্রাক্টর সড়কে দাপিয়ে বেড়ালেও এদের বিরুদ্ধে পুলিশের কোন ভূমিকাই নেই। এসব গাড়ির কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। গত দু বছরে গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রান হারিয়েছে কয়েকজন মানুষ। তাই এসব অবৈধ গাড়ির চলাচল বন্ধের জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এমএ ফারুক মিয়া সাথে কথা হলে তিনি বলেন, মাঝেমধ্যেই আমরা ট্যাফে ও মাহিন্দ্র ট্রাক্টরের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। তবে রমজান মাসে যেসব গাড়িতে পলিথিন বা ত্রিপল ব্যবহার করা হচ্ছে না আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।