১৫ বৈশাখ, ১৪৩২ - ২৯ এপ্রিল, ২০২৫ - 29 April, 2025

শেখ হাসিনার আমলে ফ্যাসিবাদ ছিল, এখন আবার সেই নব্য ফ্যাসিবাদ শুরু হয়েছে: আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পক্ষে নই --------রংপুরে জিএম কাদের

আমাদের প্রতিদিন
1 month ago
126


নিজস্ব প্রতিবেদক:

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনা তার আমলে যে

ভাবে ফ্যাসিবাদি কায়দায় দেশ শাসন করেছে। আমাকেসহ জাতীয় পার্টিকে

ব্লাক মেইল করেছিল। এখন দেশে নব্য ফ্যাসিবাদ যাত্রা শুরু হয়েছে। তারা শেখ

হাসিনার কায়দায় আমাকেসহ জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের মুখ বন্ধ করার জন্য

তৎপর। আমার নামে ভুয়া দুর্নীতির তথ্য অবিস্কার করে আমার মুখ বন্ধ করতে

চাইছেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় রংপুর মহানগরীর স্কাইভউিতে সাংবাদকিদরে সাথে আলাপকালে তিনি

এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি দুদিনের রংপুরে এসে মুন্সিপাড়া কবরস্থানে

বাবা মায়ের কবর জিয়ারত করেন। পরে পল্লী নিবাসে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা

চেয়ারম্যান প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসইেন মুহম্মদ এরশাদের কবর জিয়ারত করনে। এরপর

সেন পাড়া স্কাইভিউ পৈত্রিক বাসভবনে কথা বলনে সাংবাদিকদের সাথে। এসময় দলের

প্রেসিডিয়াম সদস্য সদস্য এসএম ইয়াসির, সাংগঠনকি সম্পাদক লোকমানে

হোসনে, হাসানুজ্জামান নাজমিসহ কন্দ্রেীয় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ তার সাথে

ছিলেন।

জিএম কাদের আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা খারাপ হলে সামাজিক অস্থিরতা হয়। ব্যবসা

বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়ে। মিল ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়। ব্যবসায়ীরা নতুন করে বিনিয়োগ

করতে চায় না। বর্তমান আমরা লক্ষ্য করছি সরকারের ভেতরে কিছু ঘনিষ্টজনরা এমন

কিছু কাজ কর্ম উৎসাহিত করছেন যা রাজনীতির নামে লুটতারাজ ছাড়া কিছু

নয়। এরা পুলিশ বাহিনীকে দুর্বল করে দিয়েছে। ঢালাও ভাবে সব পুলিশ বাহিনীকে

শ্বৈরাচারেরদোষর হিসেবে চিহ্নিত করেছে। কোন বাদ বিচার করেননি। সব পুলিশ

কি খারাপ। পুলিশ পেশাদারিত্ব কাজ করেছেন। তারা সরকারী নির্দেশ পালন করেছেন।

প্রথম ধাক্কায় পুলিশ বাহিনীকে দুর্বল করে বিতর্কিত করে তোলা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ আমলে সব কিছু খারাপ ছিল তা নয়। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান

শক্তিশালী ছিল অনেক ভালো কাজ করার জন্য উদ্যোগী ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ

আমলে বিচার বিভাগসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে অপব্যবহার করা হয়েছে। দুর্নীতি

 

দমন কমিশনকে ব্যবহার করা হয়েছে। সব কিছুই ড্যামেজ করে দেয়া হয়েছে।

আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ার কোন সম্ভবনা এখন আমি দেখিনা। এই

পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে। দেশের যে পরিস্থিতি তাতে অর্থনৈতিক অবস্থা

খুবই খারাপ। তাতে দেশের অস্থির অবস্থা আরও বাড়বে। যা সবার জন্য মঙ্গলজন্ধসঢ়; নয়।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট এর নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, দেশে নতুন আবার

খারাপ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বিশ্বের একটি বৃহৎ দেশের প্রধান বলেছেন বাংলাদেশে

এখন জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছে। সরকারের ভেতরে তারা আছে। তাই এই জঙ্গিবাদ

সম্পর্কে আমরা যদি পরিস্কার বার্তা দিতে ব্যর্থ হই যে আমাদের দেশে

জঙ্গিবাদের অস্তিত্ব নেই। তা না হলে তারা আমাদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিতে

পারে সেই দেশ। শুধু তাই নয় এমনও হতে পারে যে তারা আমাদের ব্যবসা বানিজ্যের

উপর খারপ প্রভাব ফেলতে পারে। যারা বিদেশে আছে তাদের রেমিটেন্স পাঠানো বন্ধ

করে দেয়। যদি তাদের দেশের ব্যবসায়ীদের বলে তোমরা যে অর্ডার দিয়ে বাংলাদেশে

অর্থ পাঠাও তা জঙ্গিবাদের জন্য ব্যবহার হচ্ছে তা হলে সেই ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে

আর কোন ব্যবসা করবে না।

অনেক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। সেগুলো নতুন করে সাজাতে খুবই

কষ্টকর হবে। এগুলো সাজাতে না পারলে দেশের অবস্থার উন্নতি হওয়ার সম্ভবনা দেখছি

না।

 

নিজের দুর্নীতি নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে জিএম কাদের বলেন২০১৪ সালে

আমি নির্বাচন না করায়। শেখ হাসিনা আমার পিছনে তার সমস্ত এজেন্সিকে

কাজে লাগিয়েছিল আমার দুর্নীতি খু৭জে বের করার জন্য। কোন দুর্নীতির তথ্য

খুঁজে পায়নি। আর এখন নতুন করে বর্তমান সরকার আমার নামে দুর্নীতির কথা

বলে শেখ হাসিনার মত ফ্যাসিবাদি কায়দার আমার মুখ বন্ধ করতে চ্ধাসঢ়;য়। আমি ২৫

বছর চাকরি করেছি সব চেয়ে ভাল জায়গায় আমার বিরুদ্ধে কেউ কোন দুর্নীতির

কথা কেউ বলতে পারেনি।

সেনা প্রধান নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি এবং ছাত্র উপদেষ্টাদের

বক্তব্য প্রসঙ্গে জিএম কাদের বলেন, কোন ইন্সটিটিউশন নষ্ট করার মতো খারাপ কাজ

আর কিছু হতে পারেনা। পুলিশকে বির্কিত কওে যে ক্ষতি হয়েছে তা এখন দেশের মানুষ বুঝতে পারছে। এখন সেনা বাহিনীকে নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হলে তা আরও বড় ক্ষতির কারন হতে পারে। কে দেবে নিরাপত্তা, কে দেবে রাস্তাঘাট পাহারা, কে দেবে

মানুষের বিপদে পাশে থাকার নিশ্চয়তা। সব কিছু ধ্বংস হলে আর কিছু থাকে না।

তখন পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে। আমরা রাজনিতিক দলের পদত্যাগ চাইতে পারি।

কিন্তু বাহিনীর পদত্যাগ চাইতে পারিনা।

আওয়ামী লীগের পূনর্বাসন প্রসঙ্গে জিএম কাদের বলেন. ‘ আমরা আওয়ামী লীগ

নিষিদ্ধেও পক্ষে নই। আওয়ামী লীগ একটি দল। দলের ভেতর কেউ খারাপ হলে তাকে বর্জন

করতে পারি। কিন্তু দলকে নয়। হাসিনার প্যাসিবাদ দেখেছি দেশের অর্ধেক

জনগোষ্ঠির মতামত উপেক্ষা করে নির্বাচন করেছে। জোড় করে কাউকে বাদ

দিয়েছে। জোড় করে কাউকে নিয়ে এসেছে। বর্তমান অন্তর্বতীকালীন সরকার

আমাদেরকে বাদ বাদ দিয়ে জোড় করে করে নির্বাচন করতে চাইছে। ধরনের

নিবূাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। তা হলে দেশে স্থিতিশীলতা আসবে না। দেশে

আরও সংঘাতপূর্ন পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।

আজ শনিবার তিনি জেলা পরিষদ কমিউনিটি হলে জেলা মহারগর কমিটির ইফতারমহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth