রংপুরের মমিনপুরে জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ,সংর্ঘষে প্রতিবন্ধীসহ গুরুতর আহত-৪

রংপুর সদর উপজেলার মমিনপুর ইউনিয়নের খারুয়াবাঁধা গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে প্রতিবন্ধী সহ চারজন গুরতর আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এঘটনায় রংপুর সদর কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এদিকে স্থানীয়ভাবে দুই পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন মুর্হুতে আবারও সংর্ঘষের ঘটনা ঘটতে পারে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, রংপুর সদর উপজেলার খারুযাবাঁধা গ্রামের মাহাবুবার রহমান এবং আতিয়ার রহমান, এই দুই গ্রুপ একটি জমির মালিকানা নিয়ে দীর্ঘ দিন থেকে তাদের মাঝে বিরোধ চলে আসছিল।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মাহাবুবার রহমান জানান, দীর্ঘদিন থেকে আমরা ২২ শতক জমি ক্রয় করে ঘরবাড়ি এবং কিছু অংশে বাঁশের ঝাড় লাগিয়ে বসবাস করছিলাম । হঠাৎ করে ঐ জমি আতিয়ার রহমান গং দাবি করে । একাধিকবার উক্ত জমি নিয়ে গ্রাম্য সালিশ আদালতে আমলা চলমান থাকার পরেও আতিয়ার রহমানের উক্ত জমি দাবি করে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি আতিয়ার রহমান এর ভাড়াটে ক্যাডার বহিনী জোর পূর্বক আমাদের বাঁশঝাড় থেকে বাঁশ কেটে নিয়ে যায়। পরে মাহাবুবার রহমান ও তসলিম মিয়া,আতিয়ার রহমান গং এর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে আতিয়ার রহমান, ওবায়দুল হক ও ফুরকান আলী তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী আফজাল হোসেন জানান, গত ২১ মার্চ আতিয়ার রহমানের বাড়ির সামন দিয়ে, আফজাল হোসেন এবং তসলিম উদ্দিন বাজার করতে যাওয়ার সময়,আতিয়ার রহমান ও তার ক্যাডার বাহিনী তাদেরকে বেধড়ক মারপিট করে। এতে প্রতিবন্ধী মাসুম এগিয়ে আসলে তাকে ধারালো দা দিয়ে মাথায় উপর্য়পুরি আঘাত করে। এতে মূহূর্তে মাঠিতে লুটিয়ে পরে প্রতিবন্ধি মাসুম। তারা সেখানেই থেমে না থেকে, আফজাল হোসেন কেও ছোরা দিয়ে বাম পায়ে আঘাত করে এবং তসলিম উদ্দিন ও আলামিনকে তারা রড দিয়ে এলোপাতারি আঘাত করে। যার ফলে আলামিনের হাত ভেঙ্গে যায়।পরে তাদেরকে এলাকাবাসী ও পরিবারের লোকজন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।বর্তমানে তারা চিকিৎসাধিন রয়েছেন।
এলাকাবাসী দুলাল মিয়া ও রোজিফা বেগম জানান, মাহাবুবার রহমান এবং আতিয়ার রহমানদের দীর্ঘদিন ধরে এই জমি নিয়ে মারামারি ও ঝগড়া বিবাদ চলছিল । এলাকাবাসীরা তা মীমাংসা করার চেষ্টা করেছিল । কিন্ত এলাকাবাসী তাদের মাঝে সমোঝোতা করে দিতে ব্যার্থ হয়।
মাহাবুবার রহমান বলেন, আতিয়ার রহমান গং আমাদেরকে সবসময়, প্রাণ নাসের হুমকি দিয়ে আসছে।তাই আমরা প্রতিনিয়ত নিরাপত্তা হিনতায় ভূগছি। যে কোন মুহুর্তে তারা আমাদের রড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে, এমন শঙ্কায় রয়েছি ।
এ বিষয়ে রংপুর সদর কোতোয়ালি থানার অফিসার ওসি মোস্তাফিজার রহমান বলেন, এই জমি সংক্রান্ত বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাহাবুবার ও আতিয়ার এর মাঝে বিরোধ চলে আসছিল, পাশাপাশি এ বিষয়ে একাধিক মামলাও গ্রহণ করা হয়েছে, ইতিপূর্বে। তাই বিষয়টি পূর্ণাঙ্গ রূপে সমাধানের জন্য এলাকাবাসী উভয়পক্ষকে নিয়ে সুষ্ঠু আলোচনায় বসার কথা রয়েছে বলে জানান তিনি ।