হিলি দিয়ে শুল্কমুক্ত সুবিধায় চাল আমদানি বন্ধ, বেড়েছে দাম

হিলি প্রতিনিধি:
ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেসরকারী ভাবে শুল্কমুক্ত সুবিধায় দেশে চাল আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বুধবার (১৬ এপ্রিল) দেশে চাল আমদানি হয়নি। তবে বর্তমানে পূর্বের নিয়ম অনুযায়ি ৬২ শতাংশ শুল্ক দিয়ে আমদানি করা যাবে। এই অবস্থায় বন্দরের পাইকারী ও খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চালে ২-৫ টাকা করে দাম বেড়েছে।
বন্দরের চাল ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দেশে চালের বাজারে দাম স্থিতিশীল রাখতে সরকার গত বছরের ১১ নভেম্বর থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় বেসরকারী পর্যায়ে চাল আমদানির অনুমতি দেয়। এরফলে ব্যবসায়ীরা হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি করে আসছিলেন। প্রতিদিন গড়ে ১২০টি ট্রাকে ভারত থেকে চাল আমদানি করা হয়। শুল্কমুক্ত সুবিধাটি মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ছিল চাল আমদানি করার শেষ সময়। ফলে বুধবার থেকে চাল আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে।
বন্দরের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা আরও জানান, এখন ৬২ শতাংশ শুল্ক দিয়ে চাল আমদানি করলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে। কারণ দেশে কিছুদিনের মধ্যে বোরো ধান উঠতে শুরু করবে। তাই কৃষকের ধানের ন্যায্যমুল্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার পূর্বের ৬২ শতাংশ শুল্ক চাল আমদানিতে বলবত রেখেছে। একারণে ভারত থেকে চাল আমদানি সম্ভব হচ্ছে না। তবে বাজারে যদি দাম বেড়ে যায় তাহলে আমদানি করা যাবে।
হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন জানান, বর্তমানে যদি কোন ব্যবসায়ী ভারত থেকে চাল আমদানি করতে চান তাহলে তাকে ৬২ শতাংশ শুল্ক দিয়ে আমদানি করতে হবে। এতোদিন শুল্কমুক্ত সুবিধায় ব্যবসায়ীরা হিলি স্থলবন্দর দিয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে চাল আমদানি করেছেন। বুধবার (১৬ এপ্রিল) থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধা বন্ধ হয়ে গেছে। একারণে বুধবার ভারত থেকে হিলি বন্দর দিয়ে কোন চাল আমদানি হয়নি।
বন্দরের পাইকারী ও খুচরা খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বর্ণা ৫ জাতের চাল কেজি প্রতি ২ টাকা বেড়ে ৫৪ টাকা, সম্পা কাটারি জাতের চাল কেজি প্রতি ৫ টাকা বেড়ে ৭০ টাকায়, রত্না জাতের চাল ২ টাকা বেড়ে ৫৫ টাকায়, মিনিকেট ৫ টাকা বেড়ে ৭৪ টাকা, গুটি জাতের চাল ৪ টাকা বেড়ে ৫৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের দেওয়া তথ্যমতে, গত বছরের ১১ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের এপ্রিল মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৫ হাজার ২৭৫টি ভারতীয় ট্রাকে ২ লাখ ২২ হাজার ৮৯০ হাজার মেট্রিকটন নন-বাসমতি (সেদ্ধ) চাল এবং ১০২৩ টি ট্রাকে ৪০ হাজার ৫০০ মেট্রিকটন নন-বাসমতি (আতপ) শুল্কমুক্ত সুবিধায় চাল আমদানি করা হয়েছে।