আতিউর রহমান, বিরল (দিনাজপুর):

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে পরিচালিত পার্টনার প্রোগ্রামের আওতায় বিরল উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে সবজি ও ফলের গ্যাপ স্ট্যান্ডার্ড ক্লাস্টার প্রর্দশনী। প্রতিটি প্রর্দশণীতে উৎপাদিত কৃষিপণ্য হবে বিশ্বমানের এবং কৃষিপণ্য রপ্তানীতে এসকল পণ্য সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব পাবে। সবজির ক্ষেত্রে ০৩ টি প্রদর্শণী এবং ফলের ০৪ টি প্রদর্শণী বাস্তবায়ন হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি দপ্তর বলছে, উত্তম কৃষি চর্চার মাধ্যমে উৎপাদিত এসকল পণ্য উৎপাদনের মূল লক্ষ্য বিদেশের বাজার পাশাপাশি দেশের সুপার মার্কেটসমূহ। প্রতিটি প্রর্দশণী প্লটের মাটি পরীক্ষা, পানি পরীক্ষা, জৈব বালাই নাশকের ব্যবহার, উৎপাদন রেজিস্টার লিপিবদ্ধকরণ এবং যাবতীয় কর্মকান্ডে বিবরণ রাখা হয়। বিদেশে কৃষিপণ্য রপ্তানীর একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো অডিট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা।

দক্ষিণ রামচন্দ্রপুর গ্রামের কৃষাণী লীপা রানী উত্তম কৃষি চর্চার মাধ্যমে নিরাপদ সবজি উৎপাদন বিষয়ে বলেন, আমাদের বিরল উপজেলায় কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী এর আগেও উচ্চমূল্যের ফসল উৎপাদন করেছি তবে এবারই প্রথম পার্টনার প্রোগ্রামের আওতায় গ্যাপের প্রতিটি প্রোটকল যথাযথ অনুসরণের মাধ্যমে নিরাপদ সবজি উৎপাদন করছি। আমরা গ্যাপের ওপর কৃষি অফিস থেকে প্রশিক্ষণ পেয়েছি এবং এখন প্রাপ্ত প্রশিক্ষণের ফলাফল বাস্তবায়ন করছি। দেশের নিরাপদ সবজির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি কৃষিপণ্য রপ্তানীতে আমাদের এই কার্যক্রম অবদান রাখবে বলে মনে করি।

সদরডাঙ্গা গ্রামের কৃষক মোঃ মতিয়ার রহমান বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের সুপরামর্শে আমরা উন্নত জাতের আমের চাষ ইতোমধ্যেই শুরু করেছি। আমাদের বিরল উপজেলার আম গত দুই বছর দেশের বাইরে রপ্তানী হয়েছে। এবছর কৃষি বিভাগের প্রচেষ্টায় ও আমাদের গ্যাপ প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতায় এটি কার্যক্রম আরও বেগবান হবে বলে মনেকরি। পার্টনার প্রোগামের জন্য কৃষকের পক্ষ হতে শুভকামনা।

বিরল উপজেলার এই নতুন, তরুণ উদ্যোক্তা কৃষক/কৃষাণী ভাই-বোনেরা যেন সহজেই নিরীক্ষা সম্পন্ন করে তাঁদের উৎপাদিত ফসল বিশ্ব বাজারে পৌঁছে দিতে পারেন তার জন্য কাজ করে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ। বিশেষভাবে উল্লেখ্য, বিরল উপজেলা হতে পর পর গত দুই বছর লিচু ও আম যথাক্রমে ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড, ইংল্যান্ড এবং সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, ডেনমার্ক এবং ইংল্যান্ডে রপ্তানী হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোস্তফা হাসান ইমাম জানান, বিগত দুই বছরের কৃষিপণ্য রপ্তানীতে সাফল্যের কারণে এবারেও বিরল উপজেলার কৃষক ও কৃষিপণ্য উৎপাদক সবোর্চ্চ গুরুত্ব পাবেন রপ্তানীকারকদের কাছে। রপ্তানীমুখী বাণিজ্যিক কৃষির জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বিরল, দিনাজপুর নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে।