রোগ শোকে আক্রান্ত জরিনা বেগমের দিন কাটছে নিদারুণ কষ্টে

তাহাম্মেল হোসেন সবুজ, মিঠাপুকুর:
রোগ ও শোকে আক্রান্ত জরিনা বেগম (৭৫)। অর্থাভাবে চিকিৎসা করতে না পেরে তাঁর শরিরে ঘা দেখা দিয়েছে। নিদারুণ কষ্টে কাটছে তাঁর জীবনের শেষ দিনগুলো। খাবার নেই, নেই চিকিৎসার ব্যবস্থা। ধিরে ধিরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন জরিনা বেগম। তিনি বড় হযরতপুর ইউনিয়নের খামার ফতেপুর গ্রামের মৃত সাহেব আলীর স্ত্রী।
জরিনা বেগম স্বামীকে হারিয়েছেন প্রায় ২০ বছর আগে। এক ছেলে সন্তান জলিল মিয়াকে নিয়ে তাঁর সংসার। ছেলেও হতদরিদ্র মানুষ। ৩ মেয়ে সন্তানকে বিয়ে দিয়েছেন। তারা কেউ খোঁজ রাখেনা জরিনা বেগমের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, যে বাড়িতে থাকেন, সেটি ভাঙাচুরা টিন দিয়ে ঘেরা। ঘরের বেশিরভাগ টিন নষ্ট হয়ে গেছে। কিছু কিছু খুলে পড়েছে। তারপরও সেগুলো ঠিক করতে পারছেন না তারা। যেখানে ঠিকমত খেতে পারেন না, সেখানে চিকিৎসা সেবা ও থাকার ঘর ঠিক করা দুরুহ ব্যাপার। এভাবেই কাটছে জরিনা বেগমের দিনগুলো।
জরিনা বেগমের ছেলে আব্দুল জলিল বলেন, আমরা হতদরিদ্র মানুষ। মায়ের চিকিৎসা করতে করতে নিঃশ্ব হয়ে গেছি। এখন অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারছিনা। আমরা নিদারুণ কষ্টে আছি। প্রতিবেশি আকমল হোসেন বলেন, তারা ঠিতমত খেতে পারেনা, চলতে পারেনা। চরম অর্থনৈতিক সংকটে দিনযাপন করছেন। সমাজের দানশীল মানুষগুলো এই হতদরিদ্র মানুষগুলোর পাশে দাড়ানোর অনুরোধ রইল। অসহায় বৃদ্ধা জরিনা বেগম বলেন, ঠিকমত খাবার জোটেনা। চিকিৎসা খরচ বহন করতে পারছিনা। আমার শরিরে ঘা ধরেছে। অনেক কষ্টে আছি।