ফুলছড়িতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ

ফুলছড়ি (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
দুর্যোগের সময় দ্রুত ও সমন্বিত সাড়া প্রদানের সক্ষমতা বাড়াতে ফুলছড়ি উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের এসওডি অনুযায়ী জরুরি সাড়াদান পদ্ধতি শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৩ জুন) ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ইসমাইল হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গাইবান্ধা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।
ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জগবন্ধু মন্ডলের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণে বক্তব্য দেন, উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা: জহিরুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিন্টু মিয়া, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা
আখি সরকার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এসএম আবু মোত্তালেব, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা সোহেল রানা, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী ইউনুস আলী, গজারিয়া ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান জিহাদুর রহমান মওলা, উদাখালী ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান কাবিল উদ্দিন প্রমুখ।
প্রশিক্ষণে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবক, ফায়ার সার্ভিস, স্থানীয় প্রশাসন ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
প্রশিক্ষণে দুর্যোগ মোকাবিলায় উপজেলা পর্যায়ে কীভাবে সমন্বিতভাবে দ্রুত সাড়া দেওয়া যায়, প্রস্তুতি গ্রহণের পদ্ধতি, সম্পদ ব্যবস্থাপনা, উদ্ধার কার্যক্রম, আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা, জরুরি ত্রাণ বিতরণ এবং পুনর্বাসন কার্যক্রম বাস্তবায়নের কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
প্রশিক্ষণে বক্তারা বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এদেশের নিত্যসঙ্গী। দুর্যোগের সময় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাধারণ মানুষ। দুর্যোগে জানমালের ক্ষতি কমাতে সবার আগে প্রয়োজন দ্রুত, সঠিক ও সমন্বিত প্রতিক্রিয়া। তাই জরুরি সাড়া প্রদানে প্রশাসন ও কমিউনিটির মধ্যে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় থাকা জরুরি। আমরা প্রত্যেকের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারলে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।
দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ফুলছড়ি উপজেলার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা তাদের দায়িত্ব ও করণীয় সম্পর্কে আরও পরিষ্কার ধারণা লাভ করেন।