মোসাদ্দেকুর রহমান সাজু, ডোমার নীলফামারী:

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ১নং ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের চিলাহাটি ডাঙ্গাপাড়া এবং পার্শ্ববর্তী পঞ্চগড় জেলার টুনিরহাট চাকলা রতনীবাড়ী এলাকার দুই কৃষক পর্যাপ্ত টমেটো আবাদ করে সেই টমেটো বিক্রি না হওয়ায় তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

ভোগডাবুড়ী ডাঙ্গাপাড়া এলাকার কৃষক কারিমুল ইসলাম এবং টুনিরহাট চাকলা রতনীবাড়ীর এলাকার কৃষক ক্ষিতীশ চন্দ্র রায়, তারা জানায়, প্রতিবারের ন্যায় এবারেও ব্যাপক টমেটোর আবাদ হয়েছে। এই দুই অঞ্চলের টমেটো দেশের বিভিন্ন স্থানের চাহিদা পূরণ করে থাকে। স্থানীয় এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ব্যবসায়ী ও পাইকাররা টমেটো চাষীদের কাছ থেকে কাঁচা পাকা টমেটো কিনে নিয়ে স্থানীয় বাজারসহ দূরদূরান্তের বাজারের চাহিদা মেটানোর জন্য আড়তে সংরক্ষণ করে রাখে। বর্তমানে যে পরিমাণ টমেটো মজুদ করেছে তা পুরো দেশের বাজারে প্রায় দুই থেকে আড়াই মাসের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে। এ বছর প্রাকৃতিক আবহাওয়া জনিত কারণে গুডাউনের সংরক্ষণকৃত টমেটোগুলো বেশিরভাগই পচন ধরছে অনেক যত্ন ও তদারকি করে মজুতকৃত টমেটো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হয়। প্রত্যেকদিন দু-চার ট্রাক লোড করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে।

সার্বিক বিষয় নিয়ে বিভিন্ন টমেটো ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বললে তারা জানায়, বর্তমানে দেশে যে পরিমাণ টমেটো আবাদ হয়েছে তা দিয়েই দেশের চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি বাইরের দেশেও রপ্তানি করার মতো সক্ষমতা রাখি, কিন্তু অতীবও দুঃখের কিছু কিছু ব্যবসায়ীরা দেশীয় কৃষক ও আড়তদারদের দিকে না তাকিয়ে ভারত থেকে আমদানি করছে নিম্ন মানের হাইড্রোজ ও ফর্মালিন যুক্ত টমেটো যা শুধু কৃষকদেরই যে ক্ষতি তা কিন্তু নয় শিশু, কিশোর, বৃদ্ধ যারাই এই ফরমালিনযুক্ত টমেটো খাচ্ছে তারাই শারীরিক ভাব বিভিন্ন রোগ জীবানুর ঝুঁকির হুমকির মুখে পড়ছে।

তারা আরও জানান, বর্তমান সরকারসহ বড় বড় ব্যবসায়ীয়া যদি দেশীয় ফর্মালিন মুক্ত আবাদকৃত টমেটোর প্রতি গুরুত্ব দিয়ে ভারত থেকে টমেটো আমদানি বন্ধ না করেন এবং দেশীয় কৃষক ও কৃষি পণ্যের প্রতি অবহেলা করন তাহলে আগামীতে ক্ষতির বোঝা মাথায় নিয়ে কৃষক আর মাঠে কাজ করবে না বলে ব্যবসায়ীরা তাদের ধারণা ব্যক্ত করেন।