২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ - ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ - 09 December, 2025

যৌন হয়রানির অভিযোগে বেরোবি অধ্যাপক সাময়িক বরখাস্ত

4 months ago
480


বেরোবি প্রতিনিধি :

যৌন হয়রানির অভিযোগে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ রশীদুল ইসলামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের আলোকে এবং সিন্ডিকেটের ১১৩তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ আদেশ দেওয়া হয়। সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা-২০১৮ অনুসারে রবিবার (৩ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শওকাত আলীর নির্দেশে রেজিস্ট্রার ড. মোঃ হারুন-অর রশিদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, তদন্ত প্রতিবেদন ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয় পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

পরিসংখ্যান বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ঘটনাটি আমরা শুরু থেকেই শুনেছি। অভিযুক্ত শিক্ষক যেভাবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবহার করতেন, তা কখনোই একজন শিক্ষকের মানদণ্ডে পড়ে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে আমরা স্বস্তি পেয়েছি।’

আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘শিক্ষকরা আমাদের অভিভাবকতুল্য। কিন্তু কেউ যদি সেই আস্থার জায়গাটাকেই ভাঙতে চান, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়াই উচিত। আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয় ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনায় আরও সচেতন থাকবে।’

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। তদন্ত প্রক্রিয়ায় নিরপেক্ষতা বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। সিন্ডিকেট সভায় বিস্তারিত আলোচনার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’এ বিষয়ে জানতে প্রফেসর ড. রশীদুল ইসলামের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য,  গত ১৯ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পেজ এবং গ্রুপে শিক্ষক রশীদুল ইসলাম এবং এক ছাত্রীর মেসেঞ্জারে কথোপকথনের স্ক্রিনশট ফাঁস হয়। ভুক্তভোগী তার নাম-পরিচয় গোপন করে এসব স্ক্রিনশট প্রকাশ করেন।

স্ক্রিনশটের লেখাগুলোয় দেখা যায়, শিক্ষক রশীদুল ইসলাম বলেন, ‘মিষ্টি মেয়ে একটা!’ উত্তরে ছাত্রী বলেন, ‘থ্যাংক ইউ স্যার, আপনি খুব ভালো মনের মানুষ।’ এবার শিক্ষক বলেন, ‘তোমাকে কী যেন করতে বলেছিলাম?’ ‘শিক্ষার্থী উত্তরে বলেন, ‘বাসায় যেতে! আর আপনার বাসায় গেলে কেউ যদি দেখে ফেলে, কি না কি হবে।’

বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী ফেসবুকে নিজের আইডি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রুপে দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাস লেখেন। পরে সেটি বিভিন্ন পেজে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর যৌন নিপীড়ক শিক্ষকদের প্রতীকী জুতার মালা পড়িয়ে কুশপুত্তলিকা দাহ সহ নানা কর্মসূচি পালন করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth