সাংবাদিকদের কলম ও কণ্ঠ কারো সাথে কম্প্রোমাইজ না করার আহবান জানিয়েছেন কথা সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাংবাদিকদের কলম ও কণ্ঠ কারো সাথে কম্প্রোমাইজ না করার আহবান জানিয়ে নন্দিত কথা সাহিত্যিক, একুশে পদক প্রাপ্ত দৈনিক কালের কণ্ঠ প্রধান সম্পাদক কথা সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন বলেছেন, নুর জাহান লিখতে আমার ১৮ বছর সময় লেগেছে। শুরু করলেই সম্ভব, পারা যায়। তাই শুরু করতে হবে।
সোমবার সন্ধায় রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাব আয়োজিত মিলন সন্ধায় বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। ক্লাবের সভাপতি ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন ও কালের কণ্ঠের রংপুর ব্যুরো প্রধান নজরুল ইসলাম রাজুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক যমুনা টেলিভিশন ও নয়া দিগন্তের নিজস্ব প্রদিবেদক সরকার মাজহারুল মান্নানের সঞ্চালনায় মিলন সন্ধ্যায় ক্লাব সদস্য ছাড়াও বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সাহিত্য কর্মীরা অংশ নেন। এসময় ক্লাবের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয়। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোজাফর হোসেন, কোষাধ্যক্ষ শফিউল করিম শফিক, কার্যনির্বাহী সদস্য আব্দুল আজিজ চৌধুরী সাঈদ, নুর হাসান চান, সদস্য সময় টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার রেদওয়ান হিমেল, অবজারভার প্রতিনিধি লাবনি ইয়াসমিন লুনি, রেখা মনি, আতিকুর রহমান আতিক, মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপিকা রুম্মানা জামান প্রমুখ।
কথা সাহিত্যিক ও কালেরকণ্ঠ প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন লেখালেখির জীবনের স্মৃতি চারণ করে বলেন, গেন্ডারিয়ার লাইব্রেরীতে আসা এক পাঠকের লেখালেখিতে উজ্জীবিত হয়ে লেখা শুরু। সেটা একসময় প্রফেশন হয়ে যায়। সব থেকে কম বয়সে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাওয়া আমাকে ভালো লেখক হওয়ার প্রেরণা দিয়েছে। রোববারের একজন জুনিয়্রা রিপোর্টার হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করে কালের পরিক্রমায় প্রধান সম্পাদক হয়েছি।
শুরু করলেই পারা যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, নুরজাহান লিখতে আমাকে উপ-মহাদেশের মৌলবাদের উন্থান সম্পর্কে ৪শ বইও পড়তে হয়েছে। আঠারো বছরে আমি সাড়ে ১২ শ পৃষ্ঠার নুরজাহান লিখেছি। ভারতের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার পেয়েছি। লেখালেখি করতে গিয়ে নিন্দিত হয়েছি। নন্দিত হয়েছি।
তিনি বলেন, কোনভাবেই সাংবাদিকতায় আপোষ করার সুযোগ নেই। সাংবাদিকতাকে জনগনের আস্থায় আনতে হবে। এজন্য সাংবাদিকদেরকেই ভ‚মিকা রাখতে হবে।