মিঠাপুকুরে একদিনে দুইজনের আত্মহত্যা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় একই দিনে পৃথক দুই এলাকায় দুইজন ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। এর মধ্যে একজন নারী ও একজন পুরুষ বলে জানা গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার উভয় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন মিঠাপুকুর থানা পুলিশের ওসি মোস্তাফিজার রহমান। এর আগে বুধবার দুপুরে আব্দুল কাদের ও রাতে আরিফা বেগম নামে দু‘জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আব্দুল কাদের শেখের (৫০) উপজেলার তিন নম্বর পায়রাবন্দ ইউনিয়নের বিরাহিমপুর গ্রামের এবং আরিফা বেগম (২৫) উপজেলার দুই নম্বর রানীপুকুর ইউনিয়নের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়নের বিরাহিমপুর গ্রামের আব্দুল কাদের প্রতিদিনের ন্যায় তার নিজের ঘরেই ঘুমিয়ে ছিলেন। বুধবার সকাল আনুমানিক ৮টায় তার ১৩ বছর বয়সী ছেলে বাঁধন তার কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে তাকে ডাকতে যায়। এ সময় বাবার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করে। পরে প্রতিবেশীরা মিঠাপুকুর থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
এ বিষয়ে নিহতের পরিবার জানান, গত রমজান মাসেও একবার বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন কাদের শেখ। তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন।
এদিকে একই দিনে বিকেলে উপজেলার রানীপুকুর ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের আরিফা বেগম নামে এক গৃহবধূ ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। স্থানীয়রা জানান, নিহত আরিফা বেগমের প্রায় আট বছর আগে প্রথম বিবাহ হয়েছিল। পরে বিভিন্ন কারণে উভয়ের মাঝে বিচ্ছেদ হয়। পরে আরিফা ঢাকায় চলে যান। সেখানে আরেকজনের সাথে দ্বিতীয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বেশ কিছুদিন ধরে ঢাকার ওই স্বামীর সাথে মনোমালিন্য চলছিল তার। স্বামীর অবহেলার কারণে আরিফা অভিমান করে বিষ পানে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা তার পরিচিতদের। তবে নিহত আরিফা বেগমের পরিবারের কোনো আপত্তি না থাকায় লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মিঠাপুকুর থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান জানিয়েছেন, ‘দুটি ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। আব্দুল কাদের শেখের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। আরিফার পরিবারের কোনো আপত্তি না থাকায় লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়নি।