কুড়িগ্রামে প্যাটার্ন বহির্ভূতভাবে ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়ায় সুপারকে নোটিশ
কুড়িগ্রাম অফিস:
কুড়িগ্রামের উলিপুরে প্যাটার্ন বহির্ভূতভাবে ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ দেওয়ায় মাদরাসা সুপারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। গত ২৯ মে এমপিও বাছাই ও অনুমোদন কমিটি মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সদস্য সচিব মো. লুৎফর রহমান এ নোটিশ প্রদান করেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মাঝবিল পানাউল্লাহ বালিকা দাখিল মাদরাসায়।
নোটিশ সূত্রে জানাযায়,জাল জালিয়াতির মাধ্যমে প্যাটার্ন বহির্ভূতভাবে ওই মাদরাসায় কর্মরত অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরকে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জুনিয়র মৌলভী নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগে জালিয়াতির মাধ্যমে মহাপরিচালকের প্রতিনিধির আবেদন করায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী কেনো বেতন ভাতা স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হবে না তা উল্লেখ করে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মাঝবিল পানাউল্লাহ বালিকা দাখিল মাদরাসায় লাভলু মিয়া অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু মাদরাসা সুপার আব্দুল মতিন মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে গোপনে লাভলু মিয়াকে জুনিয়র মৌলভী পদে নিয়োগ দেন।
মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষক জানান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ মো. তারিকুল ইসলাম ও মাদরাসা সুপার আব্দুল মতিন-র যোগসাজসে এমন জালিয়াতি করেছেন। মাদ্রাসার সুপার নোটিশ পাবার পর ঢাকা গেছেন গোপনে। এছাড়াও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম যোগদানের পর থেকে তিনি নানা অনিয়ম এবং দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়েছেন।
মাদরাসা সুপার আব্দুল মতিন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দেয়া হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ্ মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি এমনটা হয়ে থাকে তাহলে ওই সুপারের বেতন বন্ধসহ নিয়োগ বাতিল করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে তদন্ত করে ব্যবস্থাপনা কমিটির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।