৮ চৈত্র, ১৪২৯ - ২২ মার্চ, ২০২৩ - 22 March, 2023
amader protidin

তিস্তা সেচ ক্যানেল যেন বন্যা: কৃষকের মুখে হাসি

আমাদের প্রতিদিন
1 month ago
161


জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধি:

নীলফামারীর জলঢাকায় তিস্তা সেচ প্রকল্পের প্রধান সেচ ক্যানেলে পানি ছাড়া শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এখন ক্যানেল পানিতে ভরপুর যেন বন্যা। আর বোরো আবাদের আগে পানি ছাড়ায় আনন্দিত কৃষকরা। বুধবার তিস্তা সেচ প্রকল্পের জলঢাকার দুন্দিবাড়ী এলাকায় তিস্তার প্রধান সেচ ক্যানেলের গেট খুলে দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে পানি ছেড়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ফলে ক্যানেলসমূহে পানিতে ভরপুর হওয়ার পানি খাল হয়ে ফসলের জমিতে প্রবেশ করায় হাসি খুশি কৃষকরা।

পৌরসভার তিন কদম এলাকার কৃষক মজিবুর, আমিনুর ও মানিক বলেন, দু'বছর ধরে এই খালে পানি প্রবাহ কম ছিল। ফলে কৃষকরা জমিতে সেচের জন্য পানি পায়নি। কিন্তু এবার সেচ খালের সংস্কার ও মেরামত কাজ শুরু হওয়ায় ক্যানেল ও সেকেন্ডারি খালে যে পরিমাণ পানি এসেছে তাতে মনে হচ্ছে টারশিয়ারি খালগুলোতেও পানি চাহিদা মোতাবেক পাওয়া যাবে। ফলে আগের চেয়ে এবার কম খরচে জমিতে সেচ দিতে পারবো।

সূত্র জানায়, তিস্তা সেচ প্রকল্পের আওতাধীন কৃষকরা পাবেন চাহিদা মতো সেচের পানি। কম খরচে এ সুবিধা পাবেন তারা। তাছাড়া এবার ভালো ফলনের পাশাপাশি লাভের আশা করছেন জলঢাকার তিস্তা সেচ প্রকল্পভুক্ত বোরো কৃষকরা।

সৈয়দপুর ডিভিশন পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, ‘আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে সেকেন্ডারি খাল থেকে টারশিয়ারি খালে পানি দেওয়া শুরু হলে কৃষকরা সেচ সুবিধা পেতে শুরু করবেন। এবার পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারী জেলায় সেচ দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে।’

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেচ সম্প্রসারণ দপ্তর বলছে, নীলফামারী, রংপুর, দিনাজপুরে এবার আমনে ৪০ কোটি টাকার জ্বালানি সাশ্রয় করেছে তিস্তা সেচ প্রকল্প। জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় এবারে  যন্ত্র চালিত মেশিনে প্রতি বিঘায় সেচ দিতে খরচ হচ্ছে দুই হাজার ২০০ থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা। কিন্তু তিস্তা সেচ ক্যানেলের পানি দিয়ে খরচ হচ্ছে মাত্র ৮০ টাকা।

ক্যানেল এলাকার কৃষক কামরুল বলেন, ক্যানেলে পানি আছে প্রচুর। বোরো আবাদের কেন সমস্যা নেই। ধানের চারা সুস্থ আছে। এবার ভালো ফলনের আশা করছি।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও সেচ বাবদ কৃষকদের নিকট থেকে ৮০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়