১৪ বৈশাখ, ১৪৩১ - ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ - 27 April, 2024
amader protidin

ফুলবাড়ীর করলা চাষিরা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চাপাইনবাবগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে

আমাদের প্রতিদিন
1 year ago
192


ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুল থাকায় করলার বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে বেজায় খুশি প্রান্তিক চাষিরা। অন্যদিকে স্থানীয় ভাবে চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ করছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন স্থানসহ ধরলার চরাঞ্চলে করলার বাম্পার ফলনে চাষিরা বেজায় খুশি। দাম পাচ্ছেন প্রতিমন ২ হাজার দুইশত টাকা। পাশাপাশি লাভবার হচ্ছেন পাইকার ব্যবসায়ীরা। তারা অন্যখানে বিক্রি করছেন প্রতিমন ২ হাজার তিনশত টাকায়। তাতে কৃষকরাও যেমন লাভবান হচ্ছেন তেমনি স্থানীয় পাইকাররাও অনেকটা লাভবান হচ্ছে।

প্রতিদিন প্রান্তিক চাষিরা স্থানীয় ভাবে বিভিন্ন হাট-বাজারের চাহিদা মিটিয়ে ১০০ থেকে ১২০ মন করলা ট্রাক ভর্তি করে দেশের চাপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট, নড়াইল, বগুড়াসহ বিভিন্ন জেলার পাইকারদের নিকট বিক্রি করছে স্থানীয় করলা চাষিরা।  তারা আগাম জাতের করলার চাষা করে বদলে দিয়েছে নিজের ভাগ্যের চাঁকা। ভাল দামের আশায় গত বছরের চেয়ে এ বছর কৃষকরা বেশি বেশি করে করলার চাষ করেছেন। সেই সাথে স্থানীয় ক্ষুদে ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছ থেকে করলা ক্রয় করে লাভবান হচ্ছেন। সব মিলিয়ে করলা চাষিরা ব্যাস্ত সময় পাড় করছেন।

উপজেলার পূর্বচন্দ্রখানার আমিনুল ও ননি গোপাল জানান, তারা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় এ বছর প্রত্যেকেই ১ বিঘা জমিতে করলার চাষ করেছেন। এবছর করলার বাম্পার ফলন ও দাম ভাল পাওয়ায় এই দুই চাষি খুবেই খুশী। তারা আরও জানান, গত এক সপ্তাহ আগে ক্ষেতে বসেই ৩৬০০ থেকে ৪০০০ টাকা করলার মন বিক্রি করলেও গত দুই দিন থেকে কৃষকরা ২০০০ থেকে ২২০০ টাকা দরে পাইকারদের কাছে বিক্রি করছেন। করলার দাম এক মাস স্থায়ী থাকলে কৃষকরা আরও দ্বিগুন লাভবান হবেন। প্রতি বিঘায় খরচ লাগে ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা। এ বছর করলার বাম্পার ফলন ও দাম ভাল থাকায় প্রতি বিঘায় খরচ বাদে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা আয় হবে জানান এই দুই কৃষক।

উপজেলার চন্দ্রখানা এলাকার স্থানীয় পাইকার লালন ও এরশাদুল জানান, এ অঞ্চলে বিভিন্ন কৃষকদের কাছ শতশত মন করলা ক্রয় করে উপজেলার আমতলা ও পুলেরপাড় বাজারের আরতদার মতিন মিয়ার কাছে জমায়েত করি। সেখান প্রতিদিনেই চাপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট, নড়াইল ও বগুড়া থেকে পাইকাররা শতশত মন করলা ট্রাক যোগে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে চাপাইনবাবগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা পাইকারদের কাছে স্থানীয় ক্ষুদে পাইকারদের কাছ ২৩০০ টাকা দরে করলা বিক্রি করি। তারা আমাদের কাজ থেকে ক্রয়কৃত করলা ২৮০০ টাকা দরে বিক্রি করেন সেখানে । 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াছমিন জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১০০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড জাতের করলার চাষ হয়েছে। আমরা কৃষকদের মাঝে সার, বীজসহ বিভিন্ন ধরণে সহায়তা করেছি। করলা চাষে উদ্বুদ্ধ করতে কৃষকদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা থাকায় এ বছর যতেষ্ট সাফল্য অর্জিত হচ্ছে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়