১৩ বৈশাখ, ১৪৩১ - ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ - 26 April, 2024
amader protidin

গঙ্গাচড়ায় সরকারি বন্দোবস্ত পাওয়া জমি নিয়ে একটি প্রভাবশালী মহলের  ষড়যন্ত্র

আমাদের প্রতিদিন
10 months ago
153


গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি:

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের উত্তর পানাপুকুর মৌজায় সরকারিভাবে বন্দোবস্ত পাওয়া জমি দীর্ঘ প্রায় ৪৫ বছর ধরে দখলে রেখে চাষাবাদ করে আসার পর এখন ওই জমি বেদখল করতে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল মিথ্যা অজুহাতে নানা ষড়যন্ত্র করছে। বন্দোবস্ত পাওয়া জমির মালিকগণ এতদিন পর এ ধরনের মিথ্যা ষড়যন্ত্রের ফলে হতাশায় ভুগছেন।

বন্দোবস্ত পাওয়া জমির মালিকের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বড়বিল ইউনিয়নের উত্তর পানাপুকুর মৌজায় সরকারি কয়েক একর খাস জমি রয়েছে।এর মধ্যে

উত্তর পানাপুকুর এলাকার মৃত্যু কোনা মামুদের পুত্র  আকবর আলী,মোহাম্মদ আলী ও মাছুম আলী উত্তর পানাপুকুর মৌজায় জেল এল নং-৩০, খতিয়ান নং-১ এর ৪২০৪ দাগে থাকা খাস জমি থেকে প্রত্যেকে নিজ নিজ নামে ১.৩৭ একর জমি ১৩৮৫ সনের পহেলা বৈশাখ হতে তৎকালীন মহকুমা প্রশাসকের কাছে শর্ত মেনে বন্দোবস্ত নেয়। শর্ত সঠিক ভাবে মেনে চললে ১৫ বছর অতিক্রম হইবার পর বন্দোবস্ত সরকারি  বিধি অনুযায়ী স্থায়ী মালিকী বন্দোবস্তে পরিণত হইবে। কিন্তু দলিলে শর্ত সমূহ অথবা কোন একটি শর্ত ভঙ্গ করিলে বন্দোবস্ত নাকচ বলিয়া গণ্য হইবে এবং যে কোন সময় বন্দোবস্তকৃত উক্ত জমি বা জমির কোন অংশ সরকারের প্রয়োজনে  দখল নিতে পারিবে। বন্দোবস্ত পাওয়া জমি মালিকের  মৃত আকবার আলীর পুত্র  আজিজার রহমান, মোহাম্মদ আলীর পুত্র আবুবক্কর ও মাছুম আলীর পুত্র আব্দুল মোন্নাফ জানান, আমাদের বাবারা  সরকারের দেওয়া সকল শর্ত মেনে বন্দোবস্ত পাওয়া জমির দাগের ১৩ একরের মধ্যে ৫ একর জমি ভোগদখল করে চাষাবাদ করছি। শর্ত সঠিক ভাবে মেনে চলায় ১৫ বছর পর সরকারি শর্ত অনুযায়ী  বন্দোবস্ত জমি স্হায়ী বন্দবস্তে হয় । সে মোতাবেক জমি ভোগদখল করে আসা অবস্থায় ৪২০৪ দাগের আরএস ১০৮৬৯ নতুন দাগে প্রত্যেক বন্দোবস্ত পাওয়া জমি ভোগ দখল কারীদের নামে ১৯৯২ সনে আলাদা খতিয়ান নম্বরে নামভুক্ত হয়। নিজ নিজ নামে আরএস খতিয়ানে হওয়ার প্রায় ৩ দশকের কাছাকাছি হচ্ছে। কারণ এত বছর আমরা সরকারি শর্ত ভঙ্গ করি নাই। কিন্তু কিছুদিন থেকে এলাকার একটি চক্র হিংসামূলকভাবে আমাদের ওই জমি তাদের দখলে নেওয়ার জন্য নানা রকম ষড়যন্ত্র করে আসছে। এই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মহোদয়ের কাছে মিথ্যা অভিযোগ আনায়ন করে। তারা আরো বলেন, বন্দোবস্তের সাড়ে চার দশক সময়ে সরকারি কোন শর্ত ভঙ্গ করি নাই মেনে আসছি এবং ভবিষ্যতেও মেনে চলবো। এছাড়া সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি করছি কোন ষড়যন্ত্রের কারণে যেন জমি জবর দখল কেউ করতে না পারে সে ব্যাপারে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহনের দাবী করছি। এদিকে ওই পরিবারের গোলাম আজিজ বলেন, মিজানুর রহমান রুহুন  সেনা বাহিনীতে চাকুরী করেন এর প্রভাবে তিনি আমার কাছে বিভিন্ন সময় মোটা অংকের টাকা দাবী করেন আমি টাকা দিতে রাজি না হলে আমিসহ আমার পরিবারের লোকজনের নামে মিথ্যা মামলাসহ বিভিন্ন  হয়রানী করার হুমকি  দেন। বিগত ২-৩ পূর্বে মিজানুর তার পিতা সাইয়েদুল ইসলামকে  বাদী করে আমাদের নামে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়ার মিথ্যা  মামলা দায়ের করেন।  পরে  আমরা উক্ত মামলা হতে  অব্যাহতি পাই। এ ব্যাপারে  সহকারী কমিশন (ভূমি) নয়ন কুমার সাহা বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি সরে জমিনে গিয়েছিলাম এবং বন্দোবস্ত পাওয়া জমির কাগজ পত্র নিয়েছি। প্রতিবেদন আকারে সংশ্লিষ্ট উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হবে। এছাড়া গণভবনে কর্পোরাল পদে চাকুরীর পরিচয় দিয়ে মিজানুর রহমান মোবাইল ফোনে আমাকে গিড়িয়া ও ভুটকি বিলে বন্দোবস্ত  পাওয়া খাস জমি উদ্ধারের দাবী জানায়।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়