১৫ বৈশাখ, ১৪৩১ - ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ - 28 April, 2024
amader protidin

ভারতীয় পণ্য বর্জন ইস্যুতে মুখোমুখি আওয়ামী লীগ-বিএনপি

আমাদের প্রতিদিন
1 month ago
126


আমাদের ডেস্ক:

ভারতীয় পণ্য বয়কটের নামে বিএনপি বাজার ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। চাদর পোড়ানোসহ নেতাদের ভারতবিরোধী কর্মকাণ্ডকে রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব আখ্যা দিয়ে কার স্বার্থে বিএনপি এমন আচরণ করছে, এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি। অপরদিকে নির্বাচনে ভারত আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করায় জনগণ দেশটির পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। আর তারা এই ডাকে সংহতি জানিয়েছে।

ভারতীয় পণ্য বয়কটের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) নিজের গায়ের ভারতীয় চাদর ছুড়ে ফেলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বিএনপি নেতাদের এমন আচরণকে উগ্রতা ও পাগলামির পাশাপাশি কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত আখ্যা দেন তিনি। অভিযোগ করেন, ভারতীয় পণ্য বয়কটের নামে বিএনপি বাজার ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করতে চায়।

বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, একটা রাজনৈতিক দল কতটা দেউলিয়া হলে, কতটা উগ্র মানসিকতা সম্পন্ন অবিবেচক হলে, কতটা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত হলে প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে বয়কটের মতো কথা বলে। ভারতীয় পণ্য বয়কটের নামে বিএনপি বাজার ব্যবস্থাকে অস্থির করার গভীর ষড়যন্ত্র করছে।

বিএনপি কাকে খুশি করতে এমন আচরণ করছে— এমন প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণের স্বার্থরক্ষা করেই সরকার ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখছে।

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ভারতের গুরুত্ব তুলে ধরে সেতুমন্ত্রী বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানের দিক থেকে বাংলাদেশের চারপাশে প্রায় ভারত। একপাশে কেবল মিয়ানমার। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক আমাদেরই ক্ষতি করেছে সবচেয়ে বেশি। এখন ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অনেক ভালো।

রিজভীর চাদর পোড়ানো পাগলামি মন্তব্য করে কাদের বলেন, আওয়ামী লীগকে ভারতীয় এজেন্ট বলে সা¤প্রদায়িক আচরণ করেছে বিএনপি। আন্দোলনে পরাজিত হয়ে, নির্বাচনে না এসে যে ভুল বিএনপি করেছে তার জন্য এসব করছে। বিএনপির রাজনীতি এখন এলোমেলো। বিএনপি পথহারা পথিকের মতো দিশেহারা হয়ে যা খুশি বলছে ও করছে। বিএনপি আসলে কাকে খুশি করতে চাইছে—সেই প্রশ্ন তোলেন ওবায়দুল কাদের।

এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বিতর্কিত দাবি করে বিএনপি নেতারা বলছেন, ভারত এই নির্বাচনে সরকারকে সহযোগিতা করেছে। আর তাই জনগণ ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে। যাতে সংহতি জানিয়েছে বিএনপি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে আমরা দেখতে পাচ্ছি, জনগণ ভারতীয় পণ্য বর্জন করছে। আমরা এতে সংহতি প্রকাশ করছি।’

সব গণতান্ত্রিক দেশের কাছে ৭ জানুয়ারির নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ভারত এই নির্বাচনে সরকারকে সহযোগিতা করেছে। তাই জনগণ ভারতীয় পণ্য বয়কট করছে। ভারতীয় পণ্য বয়কটের আহ্বানে বিএনপির সংহতি অব্যাহত থাকবে।’

ফারুক বলেন, ‘চলমান রাজনৈতিক সংকট তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। ডামি সরকার দেশের মানুষের অধিকার সংরক্ষণ করতে পারেনি। গণতন্ত্রের কথা মুখে বলে উল্টো গণতন্ত্র হরণ করছে তারা।’

জিয়া পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনে শেষে নেতারা জানান, সারাদেশে সরকার পতনের আন্দোলন আরও তরান্বিত করা হবে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়