গবেষকের দাবি কফি ও জুস পানে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে
ফাইল ফটো
আমাদের ডেস্কঃ
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইন্টারস্ট্রোক গবেষণা প্রকল্পের দুটি বিশ্লেষণ থেকে বোতলজাত পানীয়, ফলের জুস এবং পানি ও যথাক্রমে কফি ও চা পানের প্রভাব সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, দোকানে বিক্রি করা ফলের রসে কৃত্রিম চিনি ও রাসায়নিক উপাদান যুক্ত করলে তা স্বাস্থ্যের ব্যাপক ক্ষতি করে। বিশেষ করে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। তবে স্বাস্থ্যের উপকারে ফলের রস ছেঁকে নেয়া এবং তাতে অতিরিক্ত কিছু যোগ করা ছাড়াই খাওয়া ভালো।
নানা কারণেই স্ট্রোক হয়ে থাকে মানুষের। অনেকেই হয়তো জানেন না, তার দৈনন্দিন লাইফস্টাইলে থাকা কিছু অভ্যাস থেকেই স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে থাকে। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, কফি, জুস দিনে চার কাপের বেশি পানে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়তে পারে। বিপরীতে ৭ কাপ পানি বা ৩-৪ কাপ ব্ল্যাক বা গ্রিন টি পানে তা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়। আবার তাজা ফলের রস উপকারী হলেও এতে যুক্ত করা কৃত্রিম উপাদান এবং প্রিজারভেটিভ স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলে।
গবেষকরা দেখছেন যে, প্রতিদিন চার কাপের বেশি কফি পানে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে এবং বিপরীতে একই পরিমাণ চা পানে ঝুঁকি হ্রাস পায়। প্রতিদিন কার্বনেটেড পানীয়, চিনিযুক্ত বা কৃত্রিমভাবে মিষ্টি করা খাবার পানে স্ট্রোকের সামগ্রিক ঝুঁকি ২২ শতাংশ বৃদ্ধির সঙ্গে যুক্ত। যা প্রতিনিয়ত পানে ঝুঁকি তিনগুণ বৃদ্ধি পায়। স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে বলে উল্লেখ করা হয়েছে সমীক্ষায়।
একইভাবে গবেষনায় উঠে আসছে, সাধারণত ফলের রস বলে বিক্রি করা পণ্যে উচ্চ পরিমাণে ঘনত্ব, শর্করা ও প্রিজারভেটিভ থাকে, তা সজীব-সতেজ ফলের রসের সঙ্গে সামঞ্জস্য। ফলের রস রক্তপাত বা ইন্ট্রাক্রানিয়াল হেমোরেজের জন্য স্ট্রোকের সম্ভাবনা ৩৭ শতাংশ বৃদ্ধিতে জড়িত। এই দুটি পানীয়তে স্ট্রোকের ঝুঁকি তিনগুণ বেড়ে যায়। আর ফলের রসের সঙ্গে পুরুষের তুলনায় নারীর রক্তক্ষরণ থেকে স্ট্রোকের ঝুঁকি নারীদের বেশি থাকে।
পাশাপাশি গবেষণায় দেখা গেছে, সব ফলের জুস একইভাবে তৈরি হয় না। তাজা ফল চিপড়ে করা রস বেশি উপকারী। তবে তাতে অধিক পরিমাণে চিনি ও প্রিজারভেটিভ যোগ করলে তা ক্ষতিকর হতে পারে।
গবেষণার প্রধান গালওয়ে বিশ্ববির্দ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল এপিডেমিওলজির অধ্যাপক ড. প্রফেসর অ্যান্ড্রু স্মিথ জানিয়েছেন, বার বার ফিজি ড্রিংকস পানকারীদের স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।