অধ্যক্ষ আব্দুল ওয়াহেদ মিঞাকে হুমকি দাতাদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি
খবর বিজ্ঞপ্তির :
গত ১৬ ডিসেম্বর রংপুরের কারমাইকেল কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল ওয়াহেদ মিঞা তাঁর প্রতিষ্ঠানে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখার কথা বলে বক্তব্য রাখেন। সেই বক্তব্যকে অজুহাত করে স্বার্থান্বেষী মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে এবং প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত করার চেষ্টা করছে। এঘটনায় বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড শাহাদত হোসেন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল(বাসদ) সমন্বয়ক আব্দুল কুদ্দুস, বাংলাদেশ জাসদ রংপুর জেলা কমিটির সভাপতি শাহীনুর রহমান বাদল ও বাংলাদেশ জাসদ,রংপুর মহানগর কমিটির সভাপতি গৌতম রায়।
আজ (৩১ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা বলেন, আমরা আরও জানতে পারি যে গত ২৯ ডিসেম্বর আনুমানিক রাত ৯ টায় সময় চারটি মোটরসাইকেলে করে ৭/৮ জন দুষ্কৃতিকারী যুবক অধ্যক্ষ আব্দুল ওয়াহেদ এর বাসায় যান এবং অধ্যক্ষকে বাইরে আসতে বলেন এবং কিন্তু তিনি বাইরে না আসায় তারা জানতে চান তিনি কবে এবং কখন প্রতিষ্ঠানে যাবেন। এরপর তারা ভয়ভীতি দেখান এবং হুমকি প্রদান করে চলে যান।
উল্লেখ্য, অধ্যক্ষ আব্দুল ওয়াহেদ বক্তব্য দেয়ার ঘটনার সপ্তাহ খানেক পরে এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে জামায়াতে ইসলামীর মহানগর আমির রংপুর শাপলা চত্ত¡রে তাদের দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন এবং অধ্যক্ষ সাহেবের পদত্যাগ ও শাস্তির দাবি করেন।ইতোমধ্যে অধ্যক্ষ আব্দুল ওয়াহেদ মিঞা'র অপসারণ ও গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে জামায়াতে ইসলামী, রংপুর মহানগর কমিটি স্মারকলিপি প্রদান করেছে যা দেখে আমরা স্তম্ভিত। এখানে উল্লেখ্য যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যদিয়ে গত ৫ আগস্ট ২০২৪ ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পদত্যাগ ও পলায়নের পর অধ্যক্ষ মহোদয়কে উদ্দেশ্যমূলকভাবে হয়রানির চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাঁর দক্ষতা,সততা,দেশপ্রেম,জনপ্রিয়তা এবং সর্বোপরি ২০২৪ সালের জুলাই -আগস্ট গণঅভ‚ত্থানে আন্দোলনকারী ছাত্র- জনতার সাথে সক্রিয় অংশগ্রহণের কারণে তারা তখনও সফল হননি।
এমতাবস্থায় আমরা নেতৃবৃন্দ মনে করি অধ্যক্ষ আব্দুল ওয়াহেদ মিঞা একজন দক্ষ, সৎ ও দেশপ্রেমিক সজ্জন ব্যক্তি। অধ্যক্ষ হিসাবেও তিনি একজন সফল মানুষ। তাই আমরা মনে করি তাঁর বাসায় গিয়ে ভয়ভীতি দেখানো এবং হুমকি প্রদান একটি ফৌজদারি অপরাধ। আমরা হুমকিদাতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
আমরা এটা জানি এবং বিশ্বাস করি যে মুক্তিযুদ্ধের অতীত ইতিহাস পরিবর্তন করা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়, কারণ তা একটি ঘটে যাওয়া ঘটনা। মুক্তিযুদ্ধে যার যা ভ‚মিকা ছিল তা এবং পরবর্তীতে যার যা প্রতিক্রিয়াশীল ভ‚মিকা তা উভয়ই আমাদের স্বীকার করে নিয়েই আমাদেরকে আজ সামনে এগিয়ে যেতে হবে। এই মুহূর্তে জুলাই -আগস্ট ২০২৪ গণভ্যুত্থানের স্বপ্ন অসাম্প্রদায়িক বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ কায়েমের জন্য অকারণে বিভক্তি সৃষ্টি না করে ঐক্যবদ্ধ ভাবে তাই সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।