রংপুরের হারাগাছে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের মামলায় প্রতিবেশী নানা গ্রেপ্তার

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি:
রংপুরে কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ পৌর এলাকায় আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে প্রতিবেশী নাতনী স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মামলা হলে রবিবার অভিযুক্ত আবদুল হামিদকে গ্রেফতার করে রংপুর মেট্টোপলিটন হারাগাছ থানা পুলিশ।
গ্রেফতার আবদুল হামিদ হারাগাছ পৌর এলাকায় মায়াবাজার বাধেরপাড় এলাকার মৃত সহিদার রহমানের ছেলে। তার মেয়েটি স্থানীয় স্কুলের ছাত্রী এবংমেয়েটি হামিদের প্রতিবেশী নাতনী।
ভুক্তভোগী মেয়েটির পিতা জানায়, স্থানীয় বাজারে তার দোকান রয়েছে। তার মেয়ে স্থানীয় স্কুলের ছাত্রী। লেখাপড়ার পাশাপাশি দোকানে তাকে সহযোগিতা করতে প্রায় সময় বাড়ী থেকে যাওয়া আসার পথে মেয়েকে অশ্লীল কথা বলতো আবদুল হামিদ। গত ১৫ মে বৃহস্পতিবার সন্ধার দিকে মেয়ে বাড়ী থেকে দোকান যাওয়ার পথে রাস্তা থেকে তাকে ডেকে নিজ বাড়ীর ভিতরে নিয়ে যায় আবদুল হামিদ। বাড়ীতে কেউ না থাকার সুযোগে মেয়ের মুখে চেপে ধরে জোড় পুর্বক ধর্ষণ করে হামিদ। বিষয়টি জানাজানি হলে তিনি মেয়েকে জিজ্ঞাস করলে সে ১৫ মে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়ার ঘটনার বিষয় তাকে জানায়। মেয়ে তাকে জানায়, ধর্ষনের ঘটনা প্রকাশ না করার জন্য মেয়েকে ভয়ভীতি দেখিয়েছিল হামিদ। বিষয়টি জানাজানি পর এরাকায় উত্তেজনা হলে রবিবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আব্দুল হামিদকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী মেয়েটির পিতা বলেন, তার নাবালিকা মেয়ের এখন কি হবে। যে ক্ষতি করছে সেই অভিযুক্তের দৃষ্ঠান্তমুলক শাস্তির দাবী জানান তিনি। এ ঘটনায় তিনি থানায় মামলা করেছেন।
স্বজন ও স্থানীয়দের অভিযোগ, আবদুল হামিদের চরিত্র ভালো নয়। বিগত সময়ে এলাকায় আরো কয়েকটি ঘটনা ঘটিয়েছিল। কিন্তু সমাজে কৌশলে সে পাড় পেয়ে গিয়েছিল। আবারও সে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটালো। অভিযুক্তের দৃষ্ঠান্তমুলক শাস্তির দাবী জানান তারা।
রংপুর মেট্টোপলিটন হারাগাছ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম সোহেল বলেন, রবিবার সকালে ঘটনা জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। ভুক্তভোগীর স্বজনদের অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে আব্দুল হামিদকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে ভুক্তভোগির পিতা বাদী হয়ে আবদুল হামিদকে আসামী করে ধর্ষণ আইনের ধারায় মামলা করেন।
তিনি বলেন, মামলায় আবদুল হামিদকে গ্রেফতার দেখিয়ে রবিবার দুপুরে রংপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং শারিরীক পরীক্ষার জন্য মেয়েটিকে ভিকটিক সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।