উত্তরে তাপদাহে পুড়ছে চাষিদের স্বপ্ন "ফলন নিয়ে হতাশ কৃষক "

আজাদুল ইসলাম আজাদ, পীরগঞ্জ রংপুর:
তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে ফসলী জমির ফসল পুড়ে যাচ্ছে। সেচ দিয়েও রক্ষা হচ্ছে না সবজি ফসল আবাদি জমিতে খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ।
রংপুরের পীরগঞ্জে অব্যাহত তাপপ্রবাহে ফসলী জমিতে সেচ দিয়েও কৃষকরা তাদের ফসল রক্ষা করতে পারছে না। উপজেলার ১ পৌরসভার এবং ১৫ টি ইউনিয়নের কাবিলপুর, চতরা,বড় আলমপুর, রায়পুর, রামনাথপুর, মিঠিপুর, পীরগঞ্জ, গুর্জী পাড়া, কুমেদপুর এবং শানেরহাট ইউনিয়নে ব্যাপক হারে মুখি কচু আবাদ করা হয়েছে। বিশেষ করে কাঠাল মাটিতে কচুর গাছের পাতা রোদের পুড়িয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও সকল সবজির জমিতে অধিক হারে সেচ দিতে হচ্ছে।
উপজেলার কয়েকটি সবজি এলাকার ঘুরে কথা হয় সবজি চাষিদের সাথে, কৃষকরা বলছেন, সবজি চাষাবাদের মৌসুমের শুরু থেকেই বৃষ্টি বাদল ছিল এবং ঈদের আগ পর্যন্ত মাটিতে রস ছিল। ঈদের পর থেকে বৃষ্টি বাদলের দেখে নেই, যে কারনে রোদে এবং তাপ প্রবাহের ফলে সবজির গাছের পাতা শুকিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে কচুর আবাদ শেষ পর্যায়ে এসেছে, মাস এখানেও মধ্যেই জমি থেকে তোলা যাবে সেই মুহুর্তেই তাপমাত্রা বেড়েছে। এ কারনে মৌসুমে ফলন বিপর্যয় দেখা দেয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে ধারণা করছে চাষিরা।
উপজেলার যাদবপুর গ্রামের মজিবুর রহমান এবং আজহার রহমান বলেন, এবছর সাথী ফসল হিসাবে আলুর জমিতে কচু রোপণ করি। আবাদও ভালো হয়েছে এক মাসের মধ্যে আমরা জমি থেকে কচু উঠাতে পারবো। ফসল আসার আগেই
প্রচন্ড রোদ আর তাপমাত্রার কারনে গাছের পাতা পুড়িয়ে কুকরে যাচ্ছে এতে করে জমিতে অতিরিক্ত ভাবে সেচ দিতে হচ্ছে। যে কারনে এই ফসলে খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ।
মাদারপুর গ্রামের রোস্তম আলী জানান, মৌসুমের শুরু থেকেই আবহাওয়া অনুকূলে ছিল এবং কচুর বাম্পার ফলনের আশায় এলাকার চাষিরা চাষাবাদ করছে। কাঠাল মাটিতে সুস্থ সবল কচুর গাছের পাতা শুকে যাচ্ছে এটা আসলে তাপমাত্রার কারন। প্রায় জমিতে অতিরিক্ত সেচ এবং কীটনাশক প্রয়োগ করতে হচ্ছে।
খেজমতপুর এলাকার ইসমাইল হোসেন জানান, রংপুর জেলার মধ্যে পীরগঞ্জের রামনাথপুর ইউনিয়নে জনপ্রিয় আবাদ কচু। ইতিমধ্যে বাজারে নতুন কচু নামতে শুরু করেছে। যে সকল কচু আগাম হিসেবে চাষ করা হয়েছে তাদের কোন প্রকার রোগবালাই নেই। লেট করে যে সকল কৃষক চাষ করছে তাদের জমিতে তাপমাত্রার কারনে পাতা পুড়ে যাচ্ছে। সেচ দিয়ে কিছু ফসল ঠেকিয়ে রাখতে হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুজ্জামান সরকার জানান, এখানে ৫ শত ৫০ হেক্টর জমিতে মুখি কচু চাষ করা হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে বাজারে আমদানি হবে। গত দুই তিনি দিনের রোদের কারনে কিছু জমির পাতা পুড়ে গেছে এতে কোন সমস্যা হবে না। এবছর মুখি কচুর ফলন ভালো হবে বলে তিনি জানান।