রুয়া নির্বাচন ২০২৫: প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই নেতৃত্বে ২৭ জন
রাবি প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (রুয়া) নির্বাচন ২০২৫ আজ (২৬ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছে এবং চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তবে ভোট শুরুর আগেই নির্বাচন কার্যত রূপ নিয়েছে আনুষ্ঠানিকতায়—কারণ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষসহ গুরুত্বপূর্ণ ২৭টি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতরা হলেন সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম খান, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. নিজাম উদ্দীন, সহসভাপতি (সংরক্ষিত মহিলা) সাবরীনা শারমিন, কোষাধ্যক্ষ জে এ এম সকিলউর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক (সংরক্ষিত মহিলা) ড. মোছা. ইসমত আরা বেগম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইমাজ উদ্দিন, যুগ্ম-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কবির উদ্দীন, শিক্ষা ও পাঠাগার সম্পাদক ড. মো. নাসির উদ্দিন, যুগ্ম-শিক্ষা ও পাঠাগার সম্পাদক মো. শহীদুল ইসলাম, যুগ্ম-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. মো. নূরুল ইসলাম, যুগ্ম-সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু সালেহ মো. আব্দুল্লাহ।
যুগ্ম-প্রচার, প্রকাশনা ও জনসংযোগ সম্পাদক মোহা. আশরাফুল আলম ইমন, যুগ্ম-ক্রীড়া সম্পাদক রুকন উদ্দিন মো. রওশন জামির খান, দপ্তর সম্পাদক কাজী মামুন রানা, যুগ্য-দপ্তর সম্পাদক মো. মোজাহিদ হাসান, আইটি সম্পাদক মো. মাসুদ রানা, যুগ্ম-আইটি সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান মুন্না, আইন সম্পাদক মুহম্মদ শাহাদাৎ হোসাইন, মুখ্য-কল্যাণ ও উন্নয়ন সম্পাদক সাব্বির আহমেদ তাফসীর, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এ. বি. এম. কামরুজ্জামান, যুগ্ম-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মো. ফরহাদ আলম।
এছাড়া সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাহী সদস্য হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন মোছা. ফাতিমা খাতুন, মোসা. সখিনা খাতুন, ড. সিরাজুম মুনীরা, শাহানারা বেগম ও শারমিন আকতার।
তবে নির্বাচন ঘিরে বিতর্কও কম নয়। রুয়া সংবিধান লঙ্ঘনসহ একাধিক অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেছেন জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী একদল জীবন সদস্য।
এই অভিযোগ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, “এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা অপবাদ। সংবিধান লঙ্ঘনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। কেউ যদি দাবি করেন, তারা প্রমাণ দিক।”
উপাচার্য আরও বলেন, “দীর্ঘদিন পর রুয়ার কার্যকর একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনে যারা অংশ নিয়েছেন, তারা রুয়াকে আরও সক্রিয় ও কার্যকর করে তুলবেন—এই প্রত্যাশা করছি।”
নির্বাচনের উৎসবমুখর পরিবেশের মাঝেও অংশগ্রহণ ও বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে—যা রুয়া রাজনীতির ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিতও বটে।