২৭ আশ্বিন, ১৪৩২ - ১২ অক্টোবর, ২০২৫ - 12 October, 2025

পীরগঞ্জের মাঠে মাঠে দুলছে পাকা ধান "গোখাদ্য যোগান দিচ্ছে নতুন এই খড়"

1 day ago
11


আজাদুল ইসলাম আজাদ,পীরগঞ্জ:

রংপুরের পীরগঞ্জে কৃষি পল্লীর মাঠজুড়ে ঘন সবুজের সমারোহ, আগাম জাতের পাকা ধান বাতাসে দোল খাচ্ছে। কৃষি মাঠে পুরো দমে আগাম জাতের ধান পেকে গেছে পৌরসভাসহ ১৫ টি ইউনিয়নে। আগাম  জাতের ধানের ফলন আর কৃষি মাঠে পাকা ধানের সুগন্ধে  হাসি ফুটেছে চাষিদের  মুখে।

রোপা আমন চলতি মৌসুমে ২৫ হাজার ৫ শত ৩৫ হেক্টর জমিতে  ব্রি ধান ৭১, ব্রি ধান ৭৫, বিনা ধান ১৭, বিনা ধান ৭, ব্রি ধান ৮৭ এবং হাইব্রিডসহ ১২ টি জাতের ধানের চাষ করা হয়েছে। কিছু কিছু চাষি  আগাম জাতের ধান ইতিমধ্যে কাটা মারা শুরু করেছে। ধান চাষের শুরু থেকেই বৃষ্টি বাদল চাষিদের পক্ষে ছিল এ জন্য কৃষকের চাষাবাদে খরচ কম হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি অফিসার সুমন আহমেদ জানান।

তিনি আরও বলেন বীজ সার প্রণোদনাসহ বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দিয়ে চাষিদেরকে সহায়তা করছে কৃষি বিভাগ। পৌরসভা এবং সকল ইউনিয়ন গুলোতে আমাদের লোকজন বেশি ফলন এবং পোকা দমনের জন্য বিভিন্ন রকম পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।

 

কৃষি পল্লী এলাকা ঘুরে ধান চাষিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, অল্প  সময়ে ফলন বেশি  এবং কম খরচে আগাম জাতের ধান রোপণ করে ভালো ফলন পাবার সফলতার মুখ দেখছেন চাষিরা। আগাম ধান কেটে আগেভাগে সরিষা, আলু এবং সবজি চাষ করবে মাঠে। তবে অনেকেই ধারণা করছেন এ বছর ধানের ফলন ভালো হবে।

 

ধান চাষি জয়পুর গ্রামের মেহেদুল মিয়া , তসের মিয়া, মিঠিপুর গ্রামের আমজাদ হোসেন, হোসেনপুর গ্রামের তাহের মিয়া জানান, তারা প্রতিবছর আগাম জাতের ধানের চাষাবাদ করে থাকেন। বৃষ্টি পানির অপেক্ষায় না থেকে শুরুতেই  সেচ পাম্পের পানি সেচ দিয়ে এই ধানের চাষ করে। তারা ইতিপূর্বেও লাভবান হয়েছে। এতে করে ধান কাটা শ্রমিকের সংকট হয়না। গোখাদ্য খড় ব্যবসায়ীরা জমি থেকে ধান কাটা মারা করে ঘরে উঠিয়ে দেয়, খরচ অনেক কম হয়। তাছাড়া নতুন ধানের চাল বাজারেও অনেক চাহিদা রয়েছে। আবাদি জমি গুলো  দ্রুত তেলজাতীয় ফসলের আবাদ করতে পারবে তারা।  বর্তমানে কৃষকদের মাঝে এ ধান চাষের ব্যাপক চাহিদা বাড়ছে। বিশেষ করে আগাম জাতের ধরনের উপর পাখি এবং ইদুরের উৎপাত বেশি। বাবুইসহ কয়েক প্রকারের পাখি ঝাঁকে ঝাঁকে খেতে এসে আহার করে। যে কারণে বাড়তি খরচ করে জমির উপর জাল টানিয়ে দিতে হয়।

সচেতন মহলের লোকজন জানান , এ অঞ্চলের কৃষক অনেকটাই শ্রমজীবী কর্মমুখি তারা শ্রম দিয়ে মাটিতে ফসল ফলিয়ে থাকেন। চাষাবাদে কৃষক সফল এবং উপজেলায় সবধরনের ফসল চাষের উপযোগী বলে তারা বলছেন।

কৃষি শিক্ষকরা সুমন মিয়া ও আখতার হোসেন বলেন, তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলার বোরো পতিত রোপা আমন শস্য বিন্যাসে সরিষা ফসল চাষাবাদে বিগত বছর থেকেই কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। এজন্য স্বল্প মেয়াদী ধানের জমিতের আগাম চাষাবাদ, বৃষ্টির অপেক্ষায় না থেকে সম্পুরুক সেচের মাধ্যমে সঠিক সময়ে আমন ধানের রোপন করেন চাষিরা। ফলস্বরূপ একদিক যেমন আগাম রোপা আমন ধান ফসলের স্বল্পমেয়াদি ও মধ্যমেয়াদি। অন্যদিকে উপজেলায় সরিষা সহ তেল জাতীয় ফসলের চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth