পলাশবাড়ীতে শ্মশানের কমিটি নিয়ে উত্তেজনা, শান্তির ডাক সাবেক কমিটির

বায়েজীদ, পলাশবাড়ী(গাইবান্ধা) :
পলাশবাড়ী কেন্দ্রীয় মহাশ্মশানের চলমান কমিটি বাতিল ঘোষণা করে নতুন কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
উদ্ধুত পরিস্থিতিতে মোকাবেলায় শান্তির ডাক দিলেন কমিটির দীর্ঘদিনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসা দীলিপ চন্দ্র সাহা সহ প্রভাষক নীহার রঞ্জন চৌধুরী ও বিশিষ্ট কাপড় ব্যবসায়ী শ্যামল চন্দ্র সাহা।.
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে রাঙ্গামাটিস্থ পলাশবাড়ী কেন্দ্রীয় মহাশ্মশান চত্ত্বরে আয়োজিত সমাবেশ থেকে এ আহবান জানানো হয়।
সমাবেশে দীলিপ চন্দ্র সাহা বলেন, সরকারি-বেসরকারি কোন অনুদানের টাকা নিতে হাতে নেন না বা রাখেন না। কমিটির ক্যাশিয়ারসহ অন্যান্য সদস্যদের মাধ্যমে শ্মশানের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে বাস্তবায়িত হয়ে আসছেন।
তিনি আরো বলেন, শ্মশানের জমিদাতা গণের প্রত্যক্ষ ভোটে গঠিত কমিটির সভাপতি হিসেবে তিনি দীর্ঘদিন থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এখানে পকেট কমিটির গঠনের কোন সুযোগ নেই। যদি কেউ কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ অন্য যে কোন পদে দায়িত্বগ্রহণে উদ্যোগী থাকেন এবং সে যদি যোগ্য হয়, তবে তিনি নিজে দায়িত্ব থেকে ইস্তফা প্রদানসহ নতুন সভাপতির কাছে সাদরে দায়িত্বভার অর্পন করবেন।
প্রভাষক নীহার রঞ্জন চৌধুরী বলেন, আমরা সনাতনীদের মধ্যে কোন বিরোধ-বিভেদ রাখতে চাই না। আগামি এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন যারা শ্মশানের কমিটিতে আসতে চাচ্ছেন তাদের সঙ্গে একত্রে বসে আলোচনার মাধ্যমে যোগ্যদের সমন্বয়ে নতুনভাবে শ্মশান পরিচালনা কমিটি গঠন করা হবে।
ব্যবসায়ী শ্যামল চন্দ্র সাহা বলেন, আমাদের কার কপালে কি আছে কেই তা জানো না। আজই মৃত্যুবরণ করলে এই শ্মশানেই আসতে হবে। সুতরাং শ্মশান নিয়ে বিরোধের কোন! সুযোগ নেই।
আপনারা আসুন, আমাদের সঙ্গে বসুন। যোগ্যতার ভিত্তিতে এক বৈঠকেই সমস্যা সমাধান করা হবে।
সভাপতি দীলিপ বাবুর বিরুদ্ধে গাছ বিক্রির অভিযোগের বিষয়ে কমিটির ক্যাশিয়ার পলাশ সাহা বলেন, শ্মশানের গাছ বিক্রির ৩ লাখ ৯৫,!# হাজার টাকার মধ্যে সাড়ে ৩ লাখ টাকা দিয়ে শ্মশানের ৭ শতক জমি ক্রয় করা হয়েছে। বাকী টাকা ফাণ্ডে আছে, যা দিয়ে দলিল করা হবে। সভাপতির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি।
প্রসঙ্গত: অনিয়ম-দূর্ণীতি ও ক্ষমতা কুক্ষিগতের অভিযোগ এনে মহাশ্মশানের পূর্বের কমিটি বাতিল ঘোষণা করে গত বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর)
অরবিন্দু সরকারকে সভাপতি ও রাসুদেব সরকারকে সাধারণ সম্পাদক ১১ সদস্যের নবগঠিত কমিটি গঠন করে শ্মশানের অপর একটি পক্ষ।