তিস্তায় নিখোঁজের ৫ দিনেও খোজ মিলেনি শিক্ষার্থী নাইস আহমেদেরঃ স্বজনদের আহাজারি
![](https://www.amader-protidin.com/storage/postpic/1694345457.webp)
গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি:
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ হয়েছে দুই শিক্ষার্থী। নিখোঁজের ৩২ ঘন্টা পর মুন্না মিয়ার (১৮) অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার হলেও নাইস আহমেদের (১৯) ৫ দিনেও খোঁজ মিলেনি। নিখোঁজের দ্বিতীয় দিন ফায়ার সার্ভিস তাদের অভিযান বন্ধ করে দিলেও নদীর আশপাশে খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছেন নাইস আহমেদের স্বজনেরা।
নাইস আহমেদ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের গনেশের বাজার এলাকার মোনাব্বের হোসেনের ছেলে। সে গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের বিদিতর হরিথান এলাকায় তার নানা ইউসুফ আলীর বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করতো।
নাইসের খোঁজ না পাওয়ায় তার নানা-নানী ও বাবা-মা হতাশায় দিন পার করছে। ছেলের শোকে অস্থিরতা কাজ করছে তাদের মাঝে। তার নানা বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় নাইসের বাবা মোনাব্বর হোসেন বাবা বাবা বলে ডাকছেন। এলাকাবাসী তাদেরকে সান্তনা দিচ্ছেন। পাশেই নাইসের মা মাটিতে পরে বিলাপ করছেন আর বলছেন, আল্লাহ তুই তো তোর জান নিয়ায় নিছিস। শুধু একটা বারের জন্যে মোর বুকের ধনের মুখ টা দেকবার দে। তাহলে তুই ক্যানে এতো কঠিন হলু।
এবিষয় গঙ্গাচড়া ফায়ার সার্ভিসের চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টেশন মাষ্টার মমতাজুল ইসলাম বলেন, এতো দিনে ভেসে উঠার কথা। যেহেতু ৫ দিন হয়ে যাচ্ছে লাশ ভেসে উঠেনি। মনে হচ্ছে লাশটি পানির নিচে কোথাও চাপা পরে আটকে আছে তাই ভেসে উঠতে পারেনি।
উল্লেখ্য গত বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে একটি অটোভ্যানে করে ৬ বন্ধু গোসল করতে আসে। এরপর তারা নদীতে গোসলে নামলে ৬ বন্ধুই তিস্তার স্রোতে তলিয়ে যেতে ধরে। এক বন্ধু কেনো রকমে সাতঁরে পাড়ে উঠলেও বাকি ৫ বন্ধু স্রোতের টানে তলিয়ে যেতে ধরে। এসময় ঘটনাস্থলে থাকা লোকজন নৌকা দিয়ে ৩ জনকে উদ্ধার করতে পারলেও অন্য দুইজন সেখানেই নিখোঁজ হন। পরবর্তীতে মুন্না মিয়ার মরদেহ পেলেও নাইস এখনো নিখোঁজ।