হারিয়ে যাচ্ছে বাংলার ঐতিহ্য খেজুরের রস
![](https://www.amader-protidin.com/storage/postpic/1701861941.webp)
পাগলাপীর(রংপুর)প্রতিনিধিঃ
রংপুর সদর উপজেলার এক সময়ে গ্রাম-বাঙ্গলার প্রতিটি ঘরে ঘরে ঘরে খেজুরের রস দিয়ে পায়েস, রসের গুড় দিয়ে ভাঁপা পিঠা এবং গাড় রস তৈরি করে মুড়ি, চিড়া, চিতই পিঠা, তেলের পিঠা সহ হরেক রকম পিঠাপুলির মহাউৎসব চলত। এখন কিন্তু আগের মতো গ্রাম্য রাস্তার দুপাশে সারি সারি খেজুর গাছ আর দেখা যায় না । গ্রামের রাস্তা গুলোতে নতুন করে খেজুর গাছ রোপণে মানুষের আগ্রহের অভাবে বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেজুর গাছ ও খেজুরের রস ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। রংপুর সদর উপজেলার কিছু কিছু জায়গায় এখনও রাস্তার আশেপাশে দেখা যায় অল্প কিছু খেজুর গাছ। রস আহরণে গ্রাম্য রীতিতেই ঝুঁকি নিয়েই কোমরে রশি বেঁধে শীতের বিকালে ছোট-বড় মাটির হাঁড়ি গাছে বেঁধে তা থেকে রস সংগ্রহ করতে দেখা যায় না গাছিদের। এই কাঁচা রস রংপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার হাটবাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতো। আবার কেউ কেউ সকালে রস জ্বাল দিয়ে গুড়-মিঠাই তৈরি করতো।প্রতিবছর এই মৌসুমে খেজুর গাছের রস ও গুড় বিক্রি করে বাড়তি আয় করতো গাছিরা। গাছিরা গ্রামে গিয়ে বিক্রি করতেন খেজুরের রস। জাকারিয়ার কাছ থেকে খেজুরের রস কিনতে এসেছেন,বাবুল, কামরুল জানান, অনেকদিন পর খেজুরের রসের সন্ধান পেয়েছি, তাই বাসার জন্য এক জগ কিনে নিয়েছি। গাছী কালাম জানায়,আগের মতন খেজুর গাছ নেই।